ক্রীড়া ডেস্ক
উদাহরণ সৃষ্টি করে জাপানের বিদায়
লড়াইয়ের পর হার মেনে নেওয়া সত্যি কঠিন। তবে কিছু কিছু পরাজয়ের পরও মানুষের মন জয় করা যায়। তেমনটি পরশু দেখিয়েছে এশিয়ার ফুটবল পরাশক্তি জাপান। রাশিয়া বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রতিনিধির মধ্যে টিকে ছিল একমাত্র জাপানিজরা। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে তারা হেরে গেছে বেলজিয়ামের বিপক্ষে। হারলেও নিজেদের শক্তিটা বুঝিয়ে দিয়েছে ব্লু সামুরাইরা। নিপুণ ফুটবল খেলে জয় করেছে অসংখ্য ফুটবলপ্রেমীর মন। স্যালুট পেয়েছে বিশ্ববাসীর কাছ থেকে।
ম্যাচ শেষে মাঠ পরিষ্কার করার অসাধারণ উদহারণ স্থাপন করে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছিল জাপান। পরশুও তার অন্যথা হয়নি। পরাজয়ের কষ্ট নিয়ে কান্নাভেজা চোখে ঠিকই রোস্তভ অ্যারেনা স্টেডিয়ামটা পরিষ্কার করে গেছে জাপানি সমর্থকরা। জাপানিদের রীতি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার খ্যাতি আগে থেকে ছিল বিশ্বজোড়া। ভদ্রতা ও সততা দিয়ে আজকের বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করা দেশটি পরাজয়ের পরও ভুলেনি দায়িত্ব পালন করতে।
এ তো গেল জাপানি দর্শকদের কথা। জাপানি ফুটবলাররাও পরশু তৈরি করেছেন আরেকটি উদাহরণ। বেলজিয়ামের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলেও স্বাগতিক দেশ রাশিয়া তাদের মনে রাখবেন অনেক দিন। কারণ পরশু তারা যে ড্রেসিং রুমটি ব্যবহার করেছেন, সেটিও পরিপাটি করে গুছিয়ে দিয়ে গেছে তারা। সেই সঙ্গে দরজায় একটা চিরকুটও সেঁটে দিয়ে গেছে আকিরা নিশিনোর শিষ্যরা। তাতে লেখা, ‘রাশিয়ানদের ধন্যবাদ।’
এমন একটি দলকে কি ভালো না বেসে থাকা যায়। মাঠের ভেতর ‘ট্রু স্পিরিট’ ফুটবল খেলা এবং মাঠের বাইরে সমর্থকদের ন¤্রতা, সবকিছু মিলে অন্যদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে গেল দেশটি। একদিন তাদের দেখাদেখি হয়তো অনেক দল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সজাগ হবে। এমনটিই মনে করেন সামুরাইদের দেশটি। রাশিয়া বিশ্বকাপে তাদের পাওনাটাও অনেক। বেলজিয়ামের বিপক্ষের ম্যাচটিকে যারা মনে করেছিল ‘অসম ম্যাচ’ হবে তাদেরও বুঝিয়ে দিলেন জাপান ফুটবলে কতটুকু এগিয়ে গেছে। আরেকটু হলেই ইতিহাসও সৃষ্টি করে ফেলেছিল তারা। প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালের হাতছানিটা দিলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি জাপান।
"