ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে তহশিলদারের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ
ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তহশিলদারের ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার কিসমত ঘনিয়ামোড়া গ্রামের মো. বেলাল হোসেনের স্ত্রী প্রতিবন্ধী ফরিদা বাহার রিনা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রিনা একজন প্রতিবন্ধী। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবন্ধী কার্ড নং-৮৬৫ সনদধারী। জেলার ফুলগাজী উপজেলার কিসমত ঘনিয়ামোড়া গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে ৩৬ শতক জায়গার রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে মালিক দখলকার রিনা। তার পিতা হাবিবুল্লাহ বাহার ১৬ বছর আগে রিনাকে জায়গার দখল বুঝিয়ে দেন। এদিকে গত কয়েক মাস আগে তার মালিকীয় এসএ ৮৩নং ঘনিয়ামোড়া মৌজার ৪৫৪ দাগের জায়গা নামজারি খতিয়ান করাতে গেলে নজরুল ইসলাম ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। অনেক অনুরোধের পর আট হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে দেওয়ার পর হাল দাগ ৩১৫ এর পরিবর্তে ৩১৬ উল্লেখ করে অন্যের জায়গা জমা খারিজ করে দেন।
এদিকে জমা খারিজ করতে গেলে রিনার দখলীয় ৩১৫ দাগের ৩০ শতক জায়গা ভিপি সম্পত্তি বলে উল্লেখ করা হয়। এটি হাবিবুল্লাহ বাহারের নামে একসনা বন্দোবস্ত দেওয়া আছে বলে জানান তহশিলদার। রিনা তার ১৬ বছরের দখলস্বত্বের কথা উল্লেখ করে জায়গাটি বন্দোবস্ত পাবার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর আবেদন করে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য ফুলগাজী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কাছে প্রেরণ করা হয়।
একপর্যায়ে সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলামকে। তিনি রিনা ও তার স্বামী বেলালের কাছে সঠিক রিপোর্ট দিতে হলে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। হতদরিদ্র রিনার পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে বিষয়টি রিনাকে না জানিয়ে হাবিবুল্লাহর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে জায়গাটি আবারও বন্দোবস্ত করে দেন তহশিলদার। এ ছাড়া হাবিবুল্লাহ বাহার হাল ৩১৫ দাগের ৩০ শতক জায়গার মালিকানা দাবি করে ভুয়া দলিল বানিয়ে ফেনীর আদালতে মামলা করেন। এ বিষয়ে জানতে নজরুল ইসলাম বলেন, জায়গাটিতে প্রতিবন্ধী রিনার কোনো মালিকানা নেই। ঘুষ নেওয়ার কথা বানানো।
"