নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ অক্টোবর, ২০১৯

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে বন্ধের পথে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্র

ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে বন্ধ হওয়ার পথে ঐতিহ্যবাহী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র। এত দিন ক্লাব ভাড়া থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে চললেও, ক্যাসিনো কা-ের পর বন্ধ হয়ে গেছে সেসব। ফলে ক্লাব পরিচালনাসহ আগামী প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় ক্লাবটি তাকিয়ে আছে সরকারের প্রতি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে নামাজের ঘর, ক্যাসিনো আর খোদাই করা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির বিপরীত ঘরানার তিন চিত্র। ক্যাসিনো সরঞ্জাম উদ্ধারের পর থেকে ক্লাবের বিভিন্ন কক্ষে ঝুলছে তালা। খেলাধুলার সঙ্গে অনৈতিক কর্মকা-ের যেমন বৈপরীত্য, তেমনি মুক্তিযোদ্ধা নামের সঙ্গে বন্দিদশার। সব বৈপরীত্য নিয়েই এত দিন চলেছে ক্লাবটি। ঠিক কবে ক্যাসিনো চালু করা হয়েছে ক্লাবটিতে সঠিক তথ্য কেউই দিতে পারেনি। তবে ধারণা করা যায় বছর দুয়েক আগে সেটি হতে পারে।

২০১৭ সালে ২১ জুন স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্র দেখা যায়, ক্লাবটি ভাড়া নেন শাহবাগ থানা আলী আহম্মদ। চুক্তিপত্র অনুযায়ী ক্লাবের নয়টি দোকান আর একটি ক্যানটিনের ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে দেওয়া হবে ৩৯ লাখ টাকা।

তবে ক্লাবের ভেতরে তেমন দোকানের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, ক্যাসিনো স্থাপনের উদ্দেশ্যেই ক্লাবটি ভাড়া নেন আলী আহম্মদ। ক্যাসিনোর বিপুল আয় থেকেই প্রতি মাসে দেওয়া হতো ত্রিশ লক্ষাধিক টাকা।

কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গেল দুই বছর ধরে ক্লাবটি পরিচালনা করছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। ভাড়াবাবদ টাকা পেলেও, তার উৎস সম্পর্কে জানা নেই অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালক জহুরুল ইসলাম রোহেলের।

আয়ের একমাত্র উৎস বন্ধ হয়ে পড়ায়, আগামী প্রিমিয়ার লিগে ক্লাব অংশ নিতে পারবে কি না, সেটি নিয়েই তৈরি হয়েছে শঙ্কা, জানালেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র ম্যানেজার মো. আরিফুল ইসলাম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close