নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রীকে মিলার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা সুষ্ঠু নির্বাচন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিলার জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য তার দেশ ৩২ জন প্রতিনিধি পাঠাবে। মার্কিন দূতাবাসের ১১ দলও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। আর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ‘বিস্ময়কর’ বলেছেন ঢাকায় নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হেন্ড্রিকাস জি জে (হ্যারি)

ভারউইজ। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করে এ কথা বলেন তারা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত বলেছেন আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য তার দেশ ৩২ জন পর্যবেক্ষক পাঠাবে। মার্কিন দূতাবাসের ১১ দলও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।

রোহিঙ্গা সদস্যার বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারের এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত যাতে করে তারা নিরাপদে তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যমান সহযোগিতাকে জ্বালানি এবং শিক্ষা খাতে আরো বৃদ্ধি করতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বাংলাদেশের বিমানের সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর জন্য রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যদি আমাদের সরকার ভোটে জয়লাভ করে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে আগামী অর্থবছরে ৮ শতাংশে উন্নীত করার।

ইহসানুল করিম বলেন, ডাচ্ দূত সৌজন্য সাক্ষাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো গতিশীল হচ্ছে বলে মন্তব্য করে পারস্পরিক বন্ধুত্বের মধ্যে ‘শক্ত অঙ্গীকার’ থাকার কথাও বলেন।

বাংলাদেশ ‘ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০’ নামে দীর্ঘমেয়াদি একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা করেছে, যার মাধ্যমে বন্যা মোকাবিলা, নদীভাঙন রোধ ও নদী শাসন, নদী ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, শহর ও গ্রামের পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করার কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। ডেল্টা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে নেদারল্যান্ডস। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাসে দেন হ্যারি।

রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে দেশটির সহায়তার কথা স্মরণ করেন।

পানি ব্যবস্থাপনা ও নদীভাঙন রোধে ডাচ্দের সহায়তাও প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা। সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে সেখানে ডাচ্দের বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close