বান্দরবান প্রতিনিধি
তুমব্রু সীমান্তে ফের মিয়ানমারের সেনা সতর্ক বিজিবি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে গতকাল রোববার ফের সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে মিয়ানমার। সকাল সাড়ে আটটার দিকে সীমান্তের শূন্যরেখার কোনারপাড়া অংশে পাঁচ শতাধিক সেনা ও বিজিপি সদস্য হাজির হন। তারপর তাদের একটি অংশ কাঁটাতারের বেড়ার পাশে (মিয়ানমার অংশে) টহল শুরু করে। এদিকে আবারও সেনাসমাবেশ ঘটানোয় শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের চলে যাওয়ার জন্য তিন দফা মাইকিং করে সতর্ক করেছে মিয়ানমার।
শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, একদিন বিরতি দিয়ে রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ ছয়টি পিকআপে করে আড়াই শতাধিক সেনাসদস্য সীমান্তে জড়ো হন। এ সময় গাড়ি থেকে ভারী অস্ত্র নামাতে দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পর সেনাদের সঙ্গে যোগ দেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও কয়েকজন সদস্য।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তথ্য অনুযায়ী, রোববার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে মিয়ানমার আবারও পাঁচ শতাধিক সেনাসমাবেশ ঘটিয়েছে। যদিও মিয়ানমারের দাবি, এটা তাদের নিয়মিত টহলের অংশ। কাঁটাতারের বেড়া সংস্কারের কাজও করছে তারা।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, সকাল থেকে অন্তত ৫০০ সৈন্যের অবস্থান ছিল তমব্রু সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে। তাদের বিপরীতে বিজিবিও টহল জোরদার করেছে। ‘মিট’ পতাকা নিয়ে বিজিবি দল কোনারপাড়া হয়ে তুমব্রু জিরো পয়েন্টের দিকে এগিয়ে গেলে, মিয়ানমার সৈন্যরা ছয়টি ট্রাকে করে সেখান থেকে সরে পড়েন। তিনি বলেন, ‘দুদিন আগে আমরা সীমান্তে অস্থিরতা দেখেছি, সে তুলনায় সীমান্তের অবস্থা এখন অনেক ভালো এবং শান্ত।’
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। তারা সব সময় সতর্ক আছে। এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি হয়নি। মাতৃভূমিতে সে রকম কিছু হলে বিজিবি প্রস্তুতি আছে।
"