reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৯ মার্চ, ২০১৭

তিস্তা কত দূরে...

দিল্লি বলছে, সবকিছুই প্রস্তুত; বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। তিস্তার বণ্টন পানি চুক্তির প্রশ্নে যতটুকু জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালীন চুক্তিটি হচ্ছে না। তবে আশ্বাস দিতে কার্পণ্য করেনি ভারত। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং সে সময়েই এ চুক্তি সম্পন্ন হবে। আরো জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই স্বাক্ষর হবে চুক্তিটি। চলতি বছরের মে অথবা আগামী বছর, নরেন্দ্র মোদি ও মমতার বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে।

ইতোমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির খসড়ার কাজ ‘শেষ হইয়াও হইল না’ অবস্থায় আছে। খসড়ার কিছু অংশ নিয়ে মমতার আপত্তি ছিল। সেখানে কিছু সংশোধনী এনে তা তিস্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের অন্যান্য রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। মমতা চাইছেন, চুক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর কোনো আপত্তি না থাক।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সমঝোতা স্মারকসহ ৪১টি চুক্তি সই হতে পারে। সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি কতটা গুরুত্ব পাবে, তা আমরা জানি না। তবে এটুকু জেনে গেছি যে, তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়টি পিছিয়ে গেল। ঘর পোড়া গরুর সঙ্গে আমাদের একটা অদ্ভুত মিল। সিঁদুরে মেঘেই আমাদের ভয়। ভয়টা বেড়ে যায় কিছু কিছু ঘটনা সামনে এলে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারত এও বলেছে যে, নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি রূপরেখা তৈরিকে তিস্তা চুক্তির অন্তরায় হিসেবে দেখলে চলবে না। দুই চুক্তির গুরুত্ব দুই রকম।

এদিকে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে বহুল আলোচিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হচ্ছে না। তবে ভারত এই চুক্তির ব্যাপারে আন্তরিক। এবার না হলেও পরবর্তী সময়ে এই চুক্তি সম্পাদিত হবে। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, ‘মিয়া-বিবি রাজি তো কিয়া করেগা কাজী!’ আমরা কেবল চাতক পাখির মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারি। আশায় দিন গুনতে পারি, ‘কখন বৃষ্টি হবে’?

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে যা আছে তাতে বলা হয়েছে, ৫২ শতাংশ পাবে ভারত। বাকি ৪৮ শতাংশ বাংলাদেশের। মমতা এই বণ্টনে তুষ্ট নন। তিনি বাংলাদেশকে ২৫ শতাংশের বেশি পানি দিতে নারাজ। ১৯৮৩ সালের জুলাই মাসে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের একটি বৈঠকে তিস্তার পানি বণ্টনে ৩৬ শতাংশ বাংলাদেশ, ৩৯ শতাংশ ভারত এবং ২৫ শতাংশ নদীর জন্য সংরক্ষিত রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

প্রধানমন্ত্রীর ওপর আমাদের আস্থা এবং বিশ্বাস চিম্বুক পাহাড়ের মতো দৃঢ়। হাজার প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি কখনো আপস করেননি। এবারের ভারত সফরে তিনি দেশের স্বার্থকে সংরক্ষণ করেই দেশে ফিরবেন। আমরা সেই অপেক্ষায় থাকলাম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist