reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে থাকতে হবে সতর্ক

কয়েক দিন ধরে দেশে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে রাজধানীসহ সারা দেশের জনজীবনে নাজেহাল অবস্থা। জীববৈচিত্র্য ও প্রাণিকুলেও পড়েছে এর বিরূপ প্রভাব। এ পরিস্থিতিতে সারা দেশে হিট অ্যালার্ট বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০-এর বেশি থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। এর বেশি হলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। এ বছর কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। অতি তাপপ্রবাহের ফলে মানুষ হিট স্ট্রোকে মারা যেতে পারে। দেহের পানির পরিমাণ কমে গিয়ে হতে পারে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা। এ ছাড়া এ সময় অন্য অনেক রোগও বেড়ে যায়। তাই সব মিলিয়ে তাপপ্রবাহের সময় সুস্থ থাকতে হলে প্রয়োজন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন।

আগে দেশে শৈত্যপ্রবাহে মানুষ মারা যেত বেশি। এখন তাপপ্রবাহে মানুষের মৃত্যু বাড়ছে। গত শুক্রবার থেকে গত বুধবার পর্যন্ত ৬ দিনে তাপপ্রবাহে ৩৪ জন মারা যাওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে। তীব্র তাপপ্রবাহের দিনগুলোয় মৃত্যু বেড়ে যায় ২২ শতাংশ। দেশের পাঁচটি প্রধান নগরের ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ প্রবল তাপের ঝুঁকিতে আছেন। এ অবস্থায় তাপপ্রবাহ থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে গাছ লাগানো ও জলাশয় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অতি তাপপ্রবাহে মানুষের শরীরও অস্বাভাবিক গরম হয়ে যায়। ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে এবং সারা শরীরে তখন রক্ত সঞ্চালন করা হৃৎপিণ্ডের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শরীর ক্লান্ত লাগা, ত্বকে ফুসকুড়ি পড়া, চুলকানি এবং পা ফুলে যাওয়া নিয়মিত উপসর্গ হিসেবে ধরা হয় তীব্র তাপপ্রবাহের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি প্রচুর ঘাম হওয়ার কারণে শরীরের তরল পদার্থ ও লবণের পরিমাণ কমে যায়, গুরুতর ক্ষেত্রে দেহে এসব তরল উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গরমে ডিমেনশিয়া রোগও দেখা দিতে পারে।

এ সময় করণীয় হলো প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া যাবে না। বিশেষ প্রয়োজনে বের হলে হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। ধুলোবালির প্রকোপ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরতে হবে। চোখে সানগ্লাস দিতে হবে। ছাতা ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজন এ সময়। তবে সে ক্ষেত্রে কালো রঙের ছাতা ব্যবহার না করাই ভালো। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলেন, সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পানি পান করতে হবে। লেবুর শরবত, স্যালাইন এবং পানীয় সমৃদ্ধ ফল ও সবজি খেতে হবে। পাশাপাশি এড়িয়ে যেতে হবে অতিরিক্ত তেল ও মসলা জাতীয় খাবার। তাপপ্রবাহের ফলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে সতর্ক থাকা ও সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close