ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৫ মে, ২০২৪

সুনামগঞ্জের ছাতক

সদস্য-শিক্ষক কাটলেন বিদ্যালয়ের ১৩ গাছ

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় বিনা অনুমতিতে মনিঞ্জাতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে। ওই বিদ্যালয়ে কাটা গাছ প্রায় দুই লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জেলা প্রশাসক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) চিঠি পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। গতকাল রবিবার দুপুরে ছাতক ইউএনও গোলাম মুস্তাফা মুন্না এ তথ্য জানান। তবে প্রধান শিক্ষিকার দাবি, প্রশাসন অনুমোদন নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে গাছগুলো কাটা হয়েছে।

এর আগে ১ মে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতার বরাবরে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করা করেছে স্থানীয়রা। মনিঞ্জাতি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নে অবস্থিত।

অভিযোগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন যুগ আগে মনিঞ্জাতি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কিছু গাছ লাগানো হয়। চলতি বছরের ৩ মার্চ বিদ্যালয়ের ১৩টি গাছ কেটে বিক্রয় করেছেন প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির দুই সদস্য। এজন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি ও স্থানীয় কারো সঙ্গে কথা বলা হয়নি। বিক্রি করা গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা।

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল আলী বলেন, ‘গাছগুলো আমার হাতে লাগানো, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গাছ কাটে না। কিন্তু বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী।’

গ্রামের প্রাক্তন দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের বাসিন্দা মফজ্জুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ বলেন, গাছগুলো কাটার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। শুনেছি বন বিভাগের অনুমতি কিংবা তাদের দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করাও হয়নি। এই অনিয়মের বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্থানে ধারণা দিলেও কেউ আমাদের নালিশ আমলে নিচ্ছেন না।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী বলেন, প্রশাসন অনুমোদন নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে এই গাছগুলো কর্তন করা হয়েছে।

দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সুমন মিয়া বলেন, উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে বিদ্যালয়ের নানা জাতের গাছ গুলো কেটেছেন ওই শিক্ষিকা।

জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ছাতক বন বিট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানায়, তিনি বা ছাতক বন বিটের কর্মকর্তা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তারা মতামতও দেয়নি। মূল্যও নির্ধারণ করেননি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস জানান, অভিযোগ আমিও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ছাতকের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সুনামগঞ্জ ছাতক,গাছ কাটার অভিযোগ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close