আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাহাড় টলানো সম্ভব কিন্তু আমাদের সেনাবাহিনী নয়: চীন
ভারতকে হুমকি
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিকিম সীমান্তে ভারতকে ভুল সংশোধনের হুমকি দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান বলেন, পিপলস রিপাবলিক আর্মিকে (চীনের সেনাবাহিনী) নড়ানোর চেয়ে পর্বত নড়ানো সহজ।
সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে বলা হয়, চীনের ভূখন্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পিপলস রিপাবলিক আর্মির সক্ষমতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করা হচ্ছে। চীন দাবি করে, গত জুনে চীন ডংলাং মালভূমিতে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। মালভূমিটিকে ভারত ও ভুটান ডকলাম নামে অভিহিত করে এবং এটিকে ভুটান নিজের ভূখ- হিসেবে মনে করে। ভারত এই মালভূমিতে রাস্তা নির্মাণকে গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি মনে করে, কারণ এতে সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী সরু ভূখ- ‘চিকেন নেক’-এ সহজে ঢুকে পড়তে পারবে চীনা সেনাবাহিনী।
গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, দুই দেশের সেনাবাহিনীই এই বিরোধপূর্ণ মালভূমি থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে সমস্যার সমাধানে আলোচনায় বসতে হবে। তিনি বলেন, বেশির ভাগ দেশ ভারতের পদক্ষেপকে সমর্থন করে এবং মনে করে চীন ভুটানকে তার ভূখ- হস্তান্তর করতে চক্রান্ত করছে। তিন দেশের সীমান্তে যে ঝুঁকিপূর্ণ ভারসাম্য আছে চীন সেটা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আলোচনায় বসার আগে ভারতকে তার সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। ভারতকে কোনো কিছু ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে থাকলে হবে না এবং কোনো অবাস্তব বিভ্রমে থাকলে চলবে না। মুখপাত্র উ কিয়ান যোগ করেন, সেনাবাহিনী জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ওই অঞ্চলে এবং সেনা মোতায়েন ও মহড়া বৃদ্ধি করেছে।
এক মাস ধরে সিকিম সীমান্তসংলগ্ন এই মালভূমিতে মুখোমুখি অবস্থানে আছে দুই দেশের সেনাবাহিনী। ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, চীনের সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থানে কোনো অতিরিক্ত সেনাবাহিনী নিয়োজিত করেছে। তিব্বতে যে মহড়া চালিয়েছে সেটা চীন সেনাবাহিনীর বার্ষিক মহড়া, তাতে বর্তমান পরিস্থিতির কোনো অবনতি হয়েছে বলে মনে করে না ভারতীয় সেনাবাহিনী।
মালভূমিতে ১৫০ মিটার দূরে দুই পক্ষের ৩০০ জন করে সেনা মুখোমুখি অবস্থানে আছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভারতকে ১৯৬২ সালের যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। এনডিটিভি।
"