আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

মের পাশে দাঁড়ালেন ব্রেক্সিটপন্থি দুই মন্ত্রী

ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতায় যুক্তরাজ্যে এমপিদের নতুন নেতৃত্বের দাবি জোরালো হতে থাকার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র পাশে দাঁড়িয়েছেন শীর্ষ দুই ব্রেক্সিটপন্থিমন্ত্রী।

এদের একজন হচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী মাইকেল গভ এবং অপরজন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী লিয়াম ফক্স।

মে’র প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন মাইকেল গভ। তিনি ভবিষ্যতে একটি সঠিক চুক্তির জন্য মনোনিবেশ করা জরুরি বলে মত দেন।

অন্যদিকে, মে’র খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তিকে সমর্থন করার জন্য এমপিদের আহ্বান জানিয়েছেন লিয়াম ফক্স। তিনি বলেন, ‘কোনো চুক্তি না হওয়ার চেয়ে বরং একটি চুক্তি থাকা ভালো।’

মে বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) খসড়া চুক্তিতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব উল্টে যায়।

বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডোমিনিক র‌্যাব। এর এক ঘণ্টা পরই কর্মসংস্থান ও পেনশনবিষয়কমন্ত্রীর পদত্যাগসহ আরো কয়েকজন প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগে মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে।

মে’র নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ করে ভোটের দাবি জানিয়ে চিঠিও দেওয়া শুরু করেন এমপিরা। টোরি দলের আরো অনেক এমপি এখনো মে’র নেতৃত্বে অসন্তোষ প্রকাশ করে আস্থা ভোটের দাবি জানাচ্ছেন। এ পরিস্থিতির মধ্যেই দুই মন্ত্রীর সমর্থন পেলেন মে।

বিবিসি সাংবাদিক লরা কুয়েন্সবার্গ বলেছেন, এ পর্যন্ত প্রায় ২০ টোরি এমপি ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মে’র ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে চিঠি দেওয়ার কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন।

কনজারভেটিভ পার্টির নিয়মানুযায়ী, দলের ব্যাকবেঞ্চ ১৯২২ কমিটিতে ৪৮ জন এমপি অনাস্থা জানিয়ে চিঠি পাঠালেই থেরেসা মে’র বিরুদ্ধে ভোট অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে।

সাবেক ব্রেক্সিটমন্ত্রী স্টিভ বেকার বিবিসি টিভিকে বলেছেন, মে’র বিরুদ্ধে কয়টি চিঠি জমা পড়েছে তা তিনি নিশ্চিতভাবে না জানলেও তার ধারণা সেটি ৪৮ এর কাছাকাছি হবে। ফলে আস্থা ভোট আসন্ন।

বিবিসি জানিয়েছে, মে এরই মধ্যে নতুন ব্রেক্সিটমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। পদত্যাগ করা ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডোমিনিক র‌্যাবের জায়গায় স্টিফেন বার্কলেকে নিযুক্ত করেছেন তিনি।

তবে বিরোধীদলীয় লেবার পার্টির ছায়া ব্রেক্সিটমন্ত্রী স্যার কির স্টারমার বলেছেন, স্টিফেন বার্কলের নিয়োগ পরিস্থিতির কিছুই বদলাবে না। ব্রেক্সিট বিভাগে একটি নতুন মুখ এনে প্রধানমন্ত্রী তার বিভক্ত সরকারকে একাট্টা করতে পারবেন না।

বার্কলের নিয়োগের আগে মে নতুন কর্মসংস্থান ও পেনশনবিষয়কমন্ত্রী হিসেবে এম্বার রাডের নাম ঘোষণা করেন। তা ছাড়া, পদত্যাগ করা দুই প্রতিমন্ত্রীর শূন্য পদেও নতুন লোক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close