জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের মাধ্যমে ৯৭ হাজার ৫০৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ৩০ হাজার ৩০১ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে এবং ৬৭ হাজার ২০৩ জনকে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সদস্য মনজুর হোসেন।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি জানান, দেশে ১৫৩ জন মহিলা কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত আছেন। বর্তমানে মাঠপর্যায়ে ২৮তম, ২৯তম, ৩০তম ও ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতি রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারভুক্ত একটি বিশেষ ব্যবস্থা, যা বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তিনি জানান, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ একটি প্রশাসনিক কার্যক্রম। বিশেষায়িত পদে এবং যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন জনবল সংকট রয়েছে, সেসব সংস্থায় উপযুক্ত সামরিক/অসামরিক কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং জনসাধরণের মধ্য থেকে বিশেষে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে সরকার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে দাফতরিক কার্যক্রম চলমান রাখা হয়।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রশাসনিক ও মামলা-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে যেসব দফতরে দ্রুত, যোগতাসম্পন্ন জনবল নিয়োগ করা সম্ভব হয় না, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সেসব সংস্থায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে জনবল সংকট নিরসন করা হয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেওয়া হলে স্বাভাবিক দাফতরিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

"