সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)
উল্লাপাড়ায় মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম
ত্রুটিপূর্ণ ২৫টি পিলার মাটি দিয়ে ঢেকে দেন ঠিকাদার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় তদরকি কর্মকর্তার বদলির সুযোগে মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। ৫১টি পিলারের মধ্যে ২৫টি ত্রুটি পাওয়া গেছে। এতে ত্রুটিপূর্ণ পিলারগুলো ভেঙে ফেলে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
গত মঙ্গলবার পরিদর্শন শেষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ নির্দেশ দিয়েছেন মডেল মসজিদ নির্মাণ তদন্ত কমিটির প্রধান সিরাজগঞ্জ ডিডিএলজি মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন।
জানা গেছে, মডেল মসজিদ ভবন নির্মাণে প্রায় ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে জেলা গণপূর্ত বিভাগ। ২০১৯ সালের ১৩ জুন পৌর এলাকার নগরবাড়ী মহাসড়কের পাশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্রের ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট এস এস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড।
ক্রটিযুক্ত পিলারগুলো ভেঙে নতুন করে ২৫টি পিলার নির্মাণের দায়ভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া হয়েছে
এদিকে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় নির্মানাধীন মডেল মসজিদ ভবন পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। পরে ডিডিএলজি মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন তিনি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. উজ্জল হোসেন, জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও শিক্ষা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ্ নূর আলম।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ দ্বিতীয়বার তদন্ত করেন। পরে তদন্ত কমিটির প্রধান ডিডিএলজি মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, উল্লাপাড়া মডেল মসজিদের মূল ভবনের ২৬টি এবং সিঁড়িসহ অপর অংশে ২৫টি পিলার মিলিয়ে ৫১টি পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ বিভিন্ন দিক তদন্ত করে মূল ভবনের ২৬টি পিলারে ত্রুটি না পাওয়ায় নির্মাণকাজে কোনো বাধা নেই। তবে সিঁড়ির অংশে ত্রুটিপূর্ণ ২৫টি পিলার ভেঙে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। এ পিলার ভাঙা ও নতুন করে নির্মাণের দায়ভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উপর দেওয়া হয়েছে।
ডিডিএলজি মোহাম্মদ তোফাজ্জল জানান, কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর একই সময়ে বদলি হন। এ সুযোগে গণপূর্ত বিভাগকে না জানিয়ে ত্রুটিপূর্ণ ২৫টি পিলার নির্মাণ পর মাটি ফেলে ঢেকে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ ২৫টি পিলার ভেঙে নতুন করে নির্মাণের দায়-ভার বুঝে নিয়েছেন ফার্স্ট এস এস কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের সাইড প্রকৌশলী বরুণ কুমার সরকার।
পিডিএস/মীর