শাহজাহান সাজু

  ১৫ অক্টোবর, ২০২০

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বাড়ছে যোগাযোগ

প্রতীকী ছবি

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। একই সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দূতাবাসগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, ‘বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের উপায়’ নিয়ে সম্প্রতি এক সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দূতাবাসগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগী হতে হবে। সভায় সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রকাশিত ‘ব্যাংকস অব সুইজারল্যান্ড, ২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদন নিয়েও আলোচনা হয়। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ৬১ কোটি ৭৭ লাখ সুইস ফ্রাঁ। ২০১৭ সালের শেষে এর পরিমাণ ছিল ৪৮ কোটি ১২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ।

সভায় বলা হয়, দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে গেলে তা ফেরত আনা কঠিন। এ অবস্থায় অর্থ পাচার বন্ধ করতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি সমন্বিত ডেটাবেইজ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত যেসব দেশে অর্থ পাচার হয়ে যায়; সেসব দেশের আইনগত কারণে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায় না। ফলে দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়ে গেলে তা ফেরত আনা কঠিন হয়ে পড়ে। তার পরও পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্ট্রিগ্রিরিটি (জিএফআই)-এর ‘ট্রেড-রিলেটেড ইলিসিট ফিন্যান্সিয়াল ফ্লোজ ইন ১৩৫ ডেভেলপিং কান্ট্রিজ : ২০০৮-১০১৭’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবৈধভাবে অর্থ পাচার হওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ট্রেড মিস-ইনভয়েসিংয়ের (আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিং) মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে বাইরে চলে গেছে ২০১৩ সালে ৯৬০ কোটি ডলার, ২০১৪ সালে ৬৩০ কোটি ডলার এবং ২০১৫ সালে ৫৯০ কোটি ডলার। তবে বাংলাদেশ থেকে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে পাচার হওয়া অর্থের তথ্য-উপাত্ত ওই প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মতে, হালনাগাদ উপাত্ত না পাওয়া গেলেও ট্রেড মিস-ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার ক্রমেই কমছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অর্থ পাচার,যোগাযোগ,দূতাবাস
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close