চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১১ মার্চ, ২০২৪

কানের দুল-আংটির জন্য বৃদ্ধাকে হত্যা দুজনের মৃত্যুদণ্ড

কানের দুল, হাতের আংটি ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য এক বৃদ্ধাকে (৭০) হত্যার ঘটনায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার ষষ্ঠ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. আব্বাস (৩৪) ও মো. রুবেল (২৮)। ভোলা জেলার দৌলতখান থানার চর খলিফা গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে রুবেল চট্টগ্রাম শহরের অভয়মিত্র ঘাটের কর্ণফুলী কলোনিতে থাকতেন। আর চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার মোহছেন আউলিয়া গ্রামের নুর ছফার ছেলে আব্বাস ছিলেন নগরীর সদরঘাট থানার আলকরণ এক নম্বর গলির বেলাল কলোনির বাসিন্দা। নিহত মঞ্জু সেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার মির্জারহাট বাজার গ্রামের মৃত মানিক চন্দ্র সেনের স্ত্রী। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নগরীর ফিরিঙ্গি বাজার শিববাড়ি লেইন এলাকায় কাদের দোভাষের ভবনে ভাড়া থাকতেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি দীর্ঘতম বড়ুয়া দীঘু বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়ার আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেওয়ায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রায়ের সময় আব্বাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আসামি রুবেল জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ফরহাদ হোসেন জাকির নামে আরেক যুবককে খালাস দিয়েছেন আদালত। আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট থানার নেভাল-টু ঘাট এলাকায় ২০১৮ সালের ২৫ মে ভোরে বৃদ্ধা মঞ্জু সেন হাঁটতে বের হন। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে বাসায় ফিরলেও সেদিন তিনি বাসায় ফেরেননি। এ ঘটনায় তার ছেলে রতন কান্তি সেন নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। পরদিন ২৬ মে দুপুরে সদরঘাট থানার নেভাল-টু এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনের পাশের ঝোপঝাঁড়ে মঞ্জু সেনের মরদেহ খুঁজে পায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ রুবেল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই ৩ জন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। রুবেল ও আব্বাস জিজ্ঞাসাবাদে তারা মঞ্জু সেনের সোনার কানের দুল, হাতের আংটি ও মোবাইল ছিনিয়ে নিতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close