ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাত পরবর্তী জরুরি উদ্ধারকাজ, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। গতকাল শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য

জানানো হয়।

ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলা নৌ অঞ্চলে নৌবাহিনীর ৩২টি জাহাজ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরি ত্রাণসামগ্রী এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় দুর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নৌবাহিনী জাহাজ মেঘনা বরিশালে, বানৌজা তিস্তা ঝালকাঠিতে, এলসিটি-১০৪ বরগুনায় এবং এলসিভিপি-০১১ পটুয়াখালীতে নিয়োজিত থাকবে। এসব জাহাজ জরুরি খাদ্যসামগ্রী হিসেবে ২ হাজার পরিবারের তিন দিনের শুকনো খাবার বহন করছে।

নৌবাহিনীর জাহাজগুলোতে প্রতিটি পরিবারের জন্য শুকনো খাবার হিসেবে রাখা হয়েছে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি তেল, দুই কেজি লবণ, দুই কেজি চিড়া, দুই কেজি মুড়ি, এক কেজি গুড় ও প্যাকেট বিস্কুট। এছাড়াও মোমবাতি, পলিথিন ব্যাগ, ম্যাচ বক্স, বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণের কাজে নিয়োজিত থাকবে।

এছাড়া, নৌ কন্টিনজেন্টগুলো অনুরূপ ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সড়কপথে দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও বিতরণের জন্য নিয়োজিত থাকবে।

"