সুমন ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ

  ২৪ নভেম্বর, ২০২২

সেতু যেন পল্লী বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের খুঁটি

মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে নির্মিত সেতুটি পল্লী বিদ্যুতের খুটিতে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন টানতে গিয়ে সেতুর পুরো অংশেরই রেলিংকে খুটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে ব্যস্ততম এ সেতুটিতে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর গ্রামে সরেজমিন দেখা গেছে, ২০১১ সালের অর্থ বছরের এলজিইডির অর্থায়নে ধলেশ্বরী নদীর উপর ৩৬০ মিটার দৈঘ্য সেতু নির্মাণ করা হয়। আর এর নির্মাণের সময়ের পর থেকেই সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানতে গিয়ে সেতুর পুরো অংশেরই রেলিংকে খুটি হিসেবে ব্যবহার করছেন।

জানা গেছে, ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত সেতুর একপাশে বালুচর গ্রাম ও অপরপ্রান্তে রয়েছে চরবালুচর গ্রাম। আর এ সেতুর পূর্ব পাশের রেলিং ব্যবহার করে চলে গেছে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন। সেতুর উপর দিয়ে পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়াও সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও ভ্যানগাড়ী চলাচল করে। সেতু পারাপার হতে দেখা গেছে অসংখ্য পথচারীকে।

বৈদ্যুতিক সঞ্চালন টানার কারনে দুর্ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেছেন চর বালুচর গ্রামের আলম মিয়া। তিনি জানান, উপজেলার বালুচর ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এ সেতুর উপর দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করে থাকেন। অথচ সেতুর রেলিংয়ে লোহার ক্যপ লাগিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। এতে পুরো সেতুই এখন বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় অটোরকিশা চালক হোসেন মিয়া বলেন, সেতুর উপর যানবাহন দুর্ঘটনা কবলিত হতেই পারে। এরমধ্যে রেলিংয়ের সঙ্গে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন টানার কারনে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাছাড়া রেলিংয়ে হাত রেখেই অনেকে শিশু-কিশোর চলাফেরা করে থাকে। সে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনো সময়।

এদিকে ধলেশ্বরী নদীর উপর সেতু নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে এলজিইডি। ২০১০-১১ অর্থ-বছরে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়। অথচ খোদ এলজিইডি কর্তৃপক্ষের জানা নেই সেতুতে চলে যাওয়া বৈদ্যুতিক সঞ্চালন টানার খবর।

এ বিষয়ে সিরাজদীখান উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, সেতুতে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন রয়েছে, তা আমার জানা নেই। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। যদি সেতুর উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন টানা হয়ে থাকে, তবে তা দেখে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

অপরদিকে সিরাজদীখান পল্লী বিদ্যুৎতের জোনাল অফিসের ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, শিগগিরই সেতু থেকে বিদ্যুৎতের লাইন সরিয়ে ফেলবো।

মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম (কারিগরি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, সেখানে বিকল্প বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছে। খুব শিগগিরই সেতু থেকে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন সরিয়ে নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close