আমিনুল ইসলাম রানা, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ভালো ফলন, বেশি লাভ পটোল চাষে ঝোঁক

সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায় পটল। জনপ্রিয় সবজির মধ্যে পটল হলো অন্যতম একটি সবজি। ছোট এই সবজিটি দেখতে খুব সুন্দর। এই পটলের রয়েছে বিভিন্ন ব্যবহার। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২ নং বেপারী পাড়া কৃষকেরা উঁচু জমিতে মাচা করে তার উপর পটল চাষ করেছে। ভালো ফলন হওয়ায় এতে করে কৃষকেরা বেশ লাভবান হচ্ছে।

জানা গেছে, জমিতে মাচা করে পটল চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এতে মাটি পোকা পটলে ধরে না। পটল সাইজে অনেক বড় হয়। বাজারে মাচায় চাষ করা পটলে বেশি চাহিদা থাকায় কৃষকেরা মাচায় পটল চাষে ঝুঁকছে। পটল একটি পুষ্টিকর খাদ্য এতে রয়েছে বিটামিন বি ১, বি ২, বিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। পটল দিয়ে অনেক প্রকার খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে। পটল দেহের হজম শক্তি বাড়ায়। জ্বর, কাশি, রক্তদুষ্টি ভাল করে। হার্টের শক্তি বৃদ্ধি, পিত্তজ্বর পেটের কৃমি দূর করে এবং শরীর ঠান্ড রাখে পটল।

পটল চাষি হায়াত আলী বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমি ২০ শতাংশ জমিতে মাচা করে পটল চাষ করেছি তাতে ভালো ফলনও পাচ্ছি। এভাবে সারা বছরই আবাদ করা যায় পটল। মাচার পটলের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন বাজারে নিয়ে যাই। প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা বিক্রি করছি। তাতে আমার সংসার ভালো চলছে। সামনে বছর আমি কয়েক বিঘা নিয়ে মাচা দিয়ে পটল চাষ করবো।

আরেক পটল চাষি ইউসুফ ফকির বলেন, এ বছর আমি প্রথম ১৫ শতাংশ জমিতে মাচা করে পটল চাষ করেছি। তাতে ভালো ফলন ও ভালো দাম পাচ্ছি। মাচার পটল গুলো দেখতে খুব সুন্দর। তাই বাজারে তার ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতিদিন সকালে বাজারে নিয়ে বিক্রি করি। এতে আমার সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। তারপরও কিছু টাকা দেনা ছিলাম সেগুলো পরিশোধ করেছি এই পটল বিক্রি করে। আগমীতে আরো দু বিঘা জমিতে মাচা করে পটল চাষ করবো।

এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, এ বছরে দৌলতদিয়াতে ১০ হেক্টর জমিতে মাচায় পটল চাষ হয়েছে। তাতে কৃষকেরা ভালো ফলন সহ লাভবান হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close