প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ জুলাই, ২০২০

নওগাঁর রানীনগর ও বরগুনার আমতলী

মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রির ধুম

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই নদী, খাল-বিলের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছও। এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রির ধুম পড়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রানীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বাঁশের তৈরি মাছ ধরার উপকরণ খলশানি বিক্রির ধুম পড়েছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহি আবাদপুকুর ও ত্রিমোহনী হাটের খলশানি পট্টিতে বেচাকেনা জমে উঠেছে।

জানা গেছে, উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের হরিপুর কাশিমপুর ইউনিয়নের নিজামপুর, নগর বালুর ঠিকি এলাকা, গোনা ইউপি’র ঝিনা, কৃষ্ণপুর কালিগ্রামের হরিপুর, সদর ইউপি’র খট্টেশ্বর, পার্শ্ববর্তী গ্রাম রামরায়পুরসহ বিভিন্ন গ্রামের ঋষি সম্প্রদায়ের লোকজন বাঁশ ও তালের উপকরণ দিয়ে খলশানি তৈরি করে থাকেন। উপজেলার আবাদপুকুর, ত্রিমোহনী, পারইল, ভান্ডারগ্রাম বেতগাড়ী, কাটরাশাইন, লোহাচুড়াসহ বিভিন্ন হাটে বিক্রি করা হয়। মানের দিক দিয়ে ভালো হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের হাওর ও বন্যা প্রবন এলাকার মাছ ব্যবসায়ীরা পাইকারি মূল্যে খলশানি কিনে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যায়। আকারভেদে একটি খলশানি তৈরি করতে খরচ হয় ১৪০-১৭০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হয় ১৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা।

উপজেলার নিজামপুর গ্রামের খলশানি ব্যবসায়ী ভক্ত জানান, এখন পর্যন্ত উপজেলার হাজারের বেশি পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

আমতলী (বরগুনা) : বরগুনার আমতলীতে বাঁশের তৈরি মাছ ধরার ফাঁদ ‘চাই’ কেনাবেচার ধুম পড়েছে।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে উপজেলার সর্ববৃহৎ সাপ্তাহিক হাট আমতলী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসেছেন চাই কেনার জন্য।

বাজারে চাই বিক্রি বেড়েছে। আকারভেদে প্রতিটি চাই ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা ও হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চিলা গ্রামে বেশি চাই তৈরি হয়। একটি ভালো জাতের বাঁশ থেকে কমপক্ষে ৭/৮ টি চাই তৈরি করা যায়।

বিক্রেতা দীনেশ সাজ্জাল বলেন, বর্ষাকালে চাই তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। একাজে পরিবারের অন্য সদস্যরাও সহযোগিতা করে। বর্তমানে চাই বিক্রির টাকায় সংসার চলছে বলেও জানান তিনি।

ক্রেতা ছয়জুদ্দিন মিয়া বলেন, দুইটি চাই ৪০০ টাকায় কিনেছি। বর্ষাকালে চাইসহ অন্যান্য মাছ ধরার ফাঁদের দাম একটু বেশি থাকে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close