শাকিল মাহমুদ বাচ্চু, উজিরপুর (বরিশাল)

  ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

বরিশালের উজিরপুরের সন্ধ্যা নদী দখল

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নেই উদ্যোগ

বরিশালের উজিরপুরের ধামুরায় সন্ধ্যা নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নেই তোমান কোনো উদ্যোগ। প্রায় ৬ মাস আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ধামুরা বন্দরে নদী দখলদারদের তালিকা তৈরি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না থাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

উপজেলার ধামুড়া বন্দরের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর বেশ কিছু অংশ দখল করে স্থায়ী পাকা ভবন নির্মাণ করেছে বাজারের প্রভাবশালীরা। এমনকি ভাঙ্গনরোধে নদীর মধ্যে রক্ষিত ব্লকের উপর ভবন নির্মাণ করেছেন তারা। ফলে নদীর বিরাট অংশ চলে যায় দখলকারীদের কবলে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে সরোজমিনে দখলদারদের তালিকা তৈরি করে দুদক টিম। উপজেলা ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার দখলদার জমি লিজ দেওয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় লোকজন, দখলদার ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরিশালের উজিরপুর ধামুরা বন্দর এলাকায় নদীর তীর ঘেঁষে দুইপাড়ে এখানে প্রায় সহ¯্রাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দখলের কবলে নদীর নাব্য হ্রাস পাওয়ায় ২০০২ সাল থেকে ঢাকাÑধামুরা লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একাধিক স্থানীয় জানান, নদীকে ঘিরেই শত বছর পূর্বে ধামুরা ব্যবসায়ী বন্দর জমে উঠেছিল। এ বন্দরটি দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়ী বন্দর। কিন্তু প্রভাবশালীরা নদী ভরাট করে গড়ে তুলেছেন পাকা স্থাপনাসহ বহুতল ভবন। এতে নদীটি অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। দখলদারদের মধ্যে রয়েছেন প্রায় ১ শতাধিক প্রভাবশালী।

এ সময় ধামুরা বন্দরের ব্যবসায়ী ও প্রবীণ স্থানীয়রা জানান, দখলের ফলে দিন দিন এ নদীটি সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এক সময় এখানে বড় লঞ্চ চলত বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দখলদারদের বিরুদ্ধে কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, দখলের কারণে নদীটি আস্তে আস্তে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করা সত্বেও কোন ব্যবস্থা বা প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো. জাকির হোসেন বলেন, দুদক বরিশাল অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান আমাদের সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে এসে সন্ধ্যা নদীর অবৈধ দখলদারদের তালিকা করেছেন। ব্যবসায়ী মনোন্দ্র কুমার কু-, মো. নান্টু মিয়া ও দোলা রানী বলেন, দখলের ফলে নদীটি যেভাবে সংকুচিত হচ্ছে তাতে ভবিষ্যাতে হারিয়ে যাবে। নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য তারা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। এদিকে উজিরপুর উপজেলা ভূমি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংক নিয়ে গোপনে লিজ দেওয়ার পায়তারা করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close