হাসান ইমন
ডিএসসিসির জামান কমিউনিটি সেন্টার
মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মানুষ
আয় দিয়ে কর্মীদের বেতনও হয় না
পুরান ঢাকার ১৮১/ওয়াটার ওয়ার্করোডের চুরি হাট্টা মসজিদের পাশেই জামান কমিউনিটি সেন্টার। ৫ বছর আগেও সেন্টারটি বিয়ে, জন্মদিন ও বিভিন্ন সমাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনে জমজমাট ছিল। প্রতি মাসে প্রায় ১ লাখ টাকার বেশি এ সেন্টার থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আয় হতো। এখন মাসে ২-৩টি অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। যা দিয়ে সেন্টারের দেখাভালের কর্মকর্তাদের মাসিক বেতন দেওয়া সম্ভব নয়। ডিএসসিসি বছরের পর বছর ভর্তুকি দিয়ে কমিউনিটি সেন্টারটি পরিচালনা করছে। জানা গেছে, অব্যবস্থার কারণে এই কমিউনিটি সেন্টারের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া নিয়ে সারা রাত অনুষ্ঠান করায় এলাকাবাসীর ঘুমানোর সমস্যা হয়। প্রায় এ নিয়ে বাকবিত-ের সৃষ্টি হয়ে থাকে। বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টারের মতো যদি ডিএসসিসির কমিউনিটি সেন্টার রাত ১২টা অনুষ্ঠান বন্ধের ব্যবস্থা করে তাহলে জামান কমিউনিটি সেন্টার পুরোদমে ভাড়া চলবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডিএসসিসির জামান কমিউনিটি সেন্টারটি ৫ তলা। নিচে রান্নার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে মোটরসাইকেলের গ্যারেজ বানানো হয়েছে। দ্বিতীয়-তৃতীয় তলায় কমিউনিটি সেন্টার, চতুর্থ তলায় ডাক্তারের চেম্বার ও পঞ্চম তলায় পুলিশের থাকার রুম। কমিউনিটি সেন্টারে টয়লেট, বেসিনের সুব্যবস্থা নেই। দীর্ঘদিন গ্যাসের বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন। কেউ বিয়ে অনুষ্ঠানের করতে চাইলে বাইরে থেকে কাঠ ও সিলিন্ডার গ্যাস কিনে রান্না করতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, পুরান ঢাকার জামান কমিউনিটির নাজুক অবস্থা। সময়ের আবর্তনে জঞ্জালের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। বিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে নি¤œ-মধ্যবিত্ত মানুষ। সেন্টারগুলোর সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টরা যেন মনোযোগী হোন।
জামান কমিউনটি সেন্টার পরিচ্ছন্নের দায়িত্বে থাকা সারোয়ার হোসেন বলেন, নিচতলায় স্থানীয় লোকজন মোটরসাইকেল রাখেন। যারা মোটরসাইকেল রেখে যান তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কথা বলার সাহস পাই না। গ্যাসের বিল পরিশোধ করতে না পারায় ৫ মাস আগে গ্যাসের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়াও একই ভবনে পুলিশ ও কমিউনিটি সেন্টার থাকায় সহজে কেউ ভাড়া নিতে চান না। ২০০৮ সালে চক্বাজার থানার ভবন ভাঙার তিন মাস আগে অস্থায়ীভাবে পুলিশ কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নেয় কিন্তু গত ১০ বছরেও পুলিশ এখান থেকে চলে যায়নি। তিনি আরো বলেন, গ্যাসের লাইন থাকাবস্থায় স্থানীয় লোকজন কমিউনিটি সেন্টারে এসে রান্না করে নিয়ে যেত। গ্যাসের প্রচুর বিল হয়েছে। সেজন্য গ্যাসের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়।
"