তহিদুল ইসলাম, জাবি

  ১৬ মার্চ, ২০১৮

জাবিতে মশার ‘মাত্রাতিরিক্ত’ উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মশার উপদ্রব অত্যধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোতে মশার উপদ্রব বেশি। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। মশার কারণে কোথাও বসে শান্তি নেই। এছাড়া এতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আবাসিক হলগুলোতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেড়েছে। অনেকে অভিযোগ করছেন মশার কয়েল ব্যবহার করেও রেহাই পাচ্ছেন না। এমনকি মশারির ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে মশা রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এছাড়া দিনেও মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তবে মশা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা আবাসিক হলগুলোর ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না করা, নর্দমায় ভর্তি পচা ও নোংরা বদ্ধ পানি থাকা এবং পরিষ্কার না করাকে দায়ী করছেন। আর কার্যকরী মশা নিধনেরও অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। মশা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কবিরুল বাশার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, জলাশয়ে লার্বিসাইড স্প্রে, ভূপৃষ্ঠে ফগিই করা ও ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করে মশা নিধন করা যায়। এই তিনটি একসঙ্গে করলে মশা কমে যাবে। তবে আমাদের এখানে শুধু ফগিই করা হয়। এ কারণে মশার উপদ্রব কমে না। আর বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ফেব্রুয়ারি-মার্চে মশা বেশি জন্মায়। বদ্ধ পানিতে মশা জন্মায়। এজন্য যদি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের ড্রেন, ডোবার পানির প্রবাহ সৃষ্টি করা যায় তাহলে মশা অর্ধেক কমে যাবে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই, এখানকার মশা জীবাণু বহন করে না।

এদিকে মশার উপদ্রব ক্রমেই বাড়তে থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। অনেকইে মশা নিধনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়ছেন। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় মশার উপদ্রব মাত্রাতিরিক্ত বাড়ছে। আহসান হাবিব মেরাজ নামের এক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাত ৩.৫৬ (৩টা বেজে ৫৬ মিনিট) মশার কামড়ে ঘুম ভেঙে গেল। কী আর করা, কপাল মন্দ।

বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেটের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন বলেন, আবাসিক হলগুলোতে মশা নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে কমে না। দ্বিতীয়বার আবার করতে হবে। আমি ম্যাডামকে (ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম) বলেছি একবার স্প্রে করলে হবে না, আরেকবার দিতে হবে। লার্ভা ধ্বংস করতে হবে। যেখানে মশা উৎপন্ন হয় আমাদের সেখানে ঢুকতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist