চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৬ ডিসেম্বর, ২০২২

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা

‘চাঁপাই চিত্র’ অফিসে হামলা সাংবাদিকতার ওপর হুমকি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক ‘চাঁপাই চিত্র’ কার্যালয়ে ককটেল হামলা ও সম্পাদককে হুমকির ঘটনাটি খুবই ন্যক্কারজনক। এ ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। এভাবে একটি পত্রিকা কার্যালয়ে হামলা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঘটনার আদ্যোপান্ত সব জেনেও পুলিশ তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করছে। পুলিশের প্রতি আহ্বান, তারা যেন দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। চাঁপাই চিত্র পত্রিকা কার্যালয়ে ককটেল হামলা ও হুমকির ঘটনায় মামলা নিয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন সাংবাদিক নেতারা।

সোমবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি শহিদুল হুদা অলক বলেন, ঘুম ভাঙেন, নিষ্ক্রিয়তা ভাঙেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের নিরাপত্তা নেই। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই। বাধ্য করবেন না পুলিশের গরু ডাকাতির তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরতে। পুলিশ সুপার কেন নিষ্ক্রিয় সেটিরও অনুসন্ধান করা হবে।

ওসিকে উদ্দেশ করে সাংবাদিক নেতা অলক বলেন, পত্রিকা কার্যালয়ে ককটেল হামলার ঘটনায় আপনি কোন কোন নাটকের জন্ম দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি প্রথমেই বলেছেন এটি নাকি ককটেল নয়। আপনি (ওসি) ককটেল চেনেন না, আপনি কীভাবে সদর মডেল থানার ওসি থাকেন। আপনারা (পুলিশ) রাজশাহী ডিআইজি অফিস থেকে কীসের পুরস্কার নিয়ে আসেন। যেখানে মানুষ আপনাদের কাছে প্রত্যাশিত নিরাপত্তাই পাই না। এসব কোন সফলতার পদক, কীসের ভিত্তিতে আপনারা পদক পান সেটিও এখন বড় প্রশ্ন।

আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার না করা হয় তাহলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

চাঁপাই চিত্রের সম্পাদক কামাল উদ্দিন বলেন, গত ২৯ অক্টোবর পত্রিকার কাজ শেষ করে আমরা সবাই রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে বাসায় যাই। পরে নাইটগার্ডের মাধ্যমে ককটেল হামলার বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে জানিয়েছিলাম। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে মামলাও করা হয়েছে। কিন্তু এক মাসেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ।

কামাল উদ্দিন আরো বলেন, এর আগে এক চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমাকে মোবাইল ফোনেও হুমকি দেয়। হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জিডি নিতেও প্রায় ৩ ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রাখেন সদর মডেল থানার ওসি। ওসি ককটেলকে ‘পটকা’ বলে বিদ্রƒপ ও হাস্যরস করেছেন। সদর মডেল থানার ওসিসহ পুলিশের অনেকেই জানেন কারা ককটেল হামলা করেছেন, কীভাবে করেছেন। তার পরও পুলিশ নিষ্ক্রিয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close