ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২

এমবাপ্পের পাখা মেলতে দেবে না ইংল্যান্ড

চার ম্যাচে এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ পাঁচ গোল করে উড়ছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। দুই ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ফ্রান্সের ফরওয়ার্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবেন তিনি। তবে তার জন্য গোল করা কষ্টসাধ্য করে তোলার প্রত্যয় ইংলিশ ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকারের। টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে উঠতে ইংল্যান্ডকে টপকাতে হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বাধা। মূলত এমবাপ্পেকে থামাতে পারলে কাজটা সহজ হবে তাদের জন্য। জাতীয় দলের হয়ে না হলেও ক্লাব পর্যায়ে তিনবার তার মুখোমুখি হয়েছেন ওয়াকার। পিএসজি ফরওয়ার্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির ডিফেন্ডার জয় পেয়েছেন দুটি, হেরেছেন এক ম্যাচ।

সুতরাং এমবাপ্পেকে আটকানোর গুরু দায়িত্ব থাকছে ওয়াকারের কাঁধে। কী করতে হবে সেটা ভালো করে জানা আছে তার, ‘আমি বুঝি আমাকে কী করতে হবে এবং সেটা হচ্ছে তাকে থামানো। এটা সম্ভবত করার চেয়ে বলা সহজ কিন্তু আমি নিজেকে অবমূল্যায়ন করছি না। আমি আগে তার বিপক্ষে খেলেছি এবং ইংল্যান্ডের হয়ে, ম্যানসিটি এবং অন্য ক্লাবের সঙ্গে খেলতে গিয়ে অনেক সেরা খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হয়েছি।’

আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে ওয়াকার বললেন, ‘সুতরাং অন্য আরেকটা ম্যাচের মতোই এটা দেখতে হবে। অবশ্য একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে এবং তার প্রাপ্য অনুযায়ী সমীহ করতে হবে। কিন্তু খুব বেশি সমীহ করা যাবে না কারণ সেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলছে এবং আমরাও তাদের সমস্যায় ফেলতে পারি। হ্যাঁ এটা কঠিন খেলা হচ্ছে কিন্তু একজন খেলোয়াড় দিয়ে তো দল হয় না।’ এমবাপ্পে যেন পাখা মেলতে না পারেন সেটাই চাওয়া ওয়াকারের, ‘এই ম্যাচটা ইংল্যান্ড বনাম এমবাপ্পের নয়। এটা ইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্সের ম্যাচ। আমরা মানছি সে ভালো খেলোয়াড়, যে ভালো ফর্মে আছে। কিন্তু আমি তো তার জন্য লাল গালিচা বিছিয়ে রাখব না এবং বলব না যে যাও গোল করো। আমি আমার দেশকে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিনিধিত্ব করছি, এটা বাঁচা-মরার লড়াই। আমরা হারলে বাড়ি ফিরে যাব। সে আমার দেশের জন্য বিশ্বকাপ জয়ের পথে বাধা হতে পারবে না আশা করি।’

এদিকে প্রতি বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ড ভক্তদের কণ্ঠে শোভা পায় ‘ইটস কামিং হোম’ গান। তবে আদতে গত ৫৬ বছর ফুটবলের সর্বোচ্চ মর্যাদার ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি থ্রি লায়নদের। গত রাশিয়া বিশ্বকাপে শিরোপার অনেক কাছে গিয়েও হতাশায় পুড়তে হয়েছিল তাদের। তবে কাতারে ভিন্ন মানসিকতা নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে নেমেছে ইংলিশরা, জানালেন দলটির ডিফেন্ডার হ্যারি মাগুয়েইর। ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে দেশের বিমান ধরতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিল তারা, ২০১০ আসরে থেমেছিল শেষ ষোলোতে। তবে মরুর বুকে শুরু থেকেই দেখা মিলেছে ছন্দময় ইংল্যান্ডের। বুধবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে মাগুয়েইর বলেন, ‘আমার মনে হয় একটা জিনিস আমি বলব ২০১৮ এর দলটির চেয়ে এই দল অনেক আলাদা। আমি মনে করি আমরা আসলেই বিশ্বাস করি এটা (বিশ্বকাপ জয়) সম্ভব। আমি ২০১৮ এর আসরে খেলেছি ও আমরা সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলাম। আমার মনে হয় অনেক খেলোয়াড়ই খুশি ছিল। আপনারা খুশি ছিলেন সেমির অংশ হতে পেরে।’ আগামীকাল শনিবার রাতে আল খোরের আল বাইত স্টেডিয়ামে শেষ আটের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। ইংলিশদের বিশ্বাসের জোর কতটুকু তা জানা যাবে সেই ম্যাচেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close