ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১২ জানুয়ারি, ২০২২

লিটনে মুগ্ধ মুমিনুল

২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংসের ধারাভাষ্যে ইয়ান বিশপ বলে উঠেছিলেন ‘লিটন দাস ইজ পেইন্টিং মোনালিসা হিয়ার ইন টনটন টুডে’। ওই বিখ্যাত কমেন্ট্রিটাই যেন গতকাল ক্রাইস্টচার্চে মনে করিয়ে দিলেন লিটন দাস। প্রতিটি শটে দিলেন শিল্পীর তুলির আঁচড়। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি হয়ে যেন একেছেন মোনালিসা।

নিল ওয়্যাগনারের যে বাউন্সার সতীর্থদের জন্য ছিল বিভীষিকা, সেটাই লিটন দাসের জন্য যেন ছিল চারের আমন্ত্রণ। অনায়াসে চমৎকার সব পুল শটে মারছিলেন একের পর এক বাউন্ডারি। বাইরে থেকে সতীর্থরা ভাবছিলেন, এত সহজে কীভাবে খেলছেন লিটন। তার সাবলীল ব্যাটিং দেখে অধিনায়ক মুমিনুল হকের মনে হয়েছে লিটন যেন বাড়তি সময় পেয়েছেন।

তিন দিনেই ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের ম্যাচে লিটন খেলেন ১০২ রানের মাস্টারক্লাস এক ইনিংস। দারুণ সব পুল, ড্রাইভ আর আপার কাটে সাজানো ছিল তার ১১৪ বলের ইনিংসটি। ১৪ চারের পাশে ছক্কা একটি।

যে কর্তৃত্ব নিয়ে কিউই পেসারদের সামাল দিয়েছেন লিটন, বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য বিরল। তাই বড় হারের মুখে থেকেও তার ব্যাটিং উপভোগ করেছেন মুমিনুলরা।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল বলেন, ‘লিটন টেকনিক্যালি অনেক সাউন্ড। লিটনের ব্যাটিং দেখলে তো মনে হয়, ও অনেক বেশি সময় পায়। বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের মতো। ব্যাটিং দেখতে খুব ভালো লাগছিল। আমরা সবাই খুব খুশি হয়েছি। এই বছরে টানা দুই সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেছে সে, দলের সবাই খুশি। আমিও খুব উপভোগ করেছি ওর ব্যাটিং।’

দেশের মাটিতে সবশেষ সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন। এবার দেশের বাইরেও পেলেন তিন অঙ্কের দেখা।

ইনিংসের শুরুতে ছিলেন সাবধানী, প্রথম ৩০ বলে করেন কেবল ৬ রান। ৪৬তম বলে মারেন প্রথম বাউন্ডারি। পরে একটার পর বাউন্ডারি আসতে থাকে তার ব্যাট থেকে। মুমিনুল মনে করেন, এগুলো একটাও বানিয়ে মারা নয়, বাজে বলের সদ্ব্যবহার করেছেন লিটন। মুমিনুল বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, খারাপ বল ছাড়া অন্য কোনো বলে সে চড়াও হয়নি। যে বলগুলো স্কোর করার মতো, সেগুলো কাজে না লাগাতে পারলে রান হবে না। আমার মনে হয়, দীর্ঘ একটা সময় অপেক্ষা করতে করতে যখন খারাপ বল বেশি পরিমাণে পেয়েছে তখন চড়াও হয়েছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close