ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৫ মে, ২০১৮

মহার্ঘ্য পেলেন না ওয়েঙ্গার

চলতি মৌসুম শেষে আর্সেনালের সঙ্গে ২২ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। কিন্তু বিদায়ী কোচকে শেষ মহার্ঘ্যটা দিতে পারল না গানাররা। পরশু ওয়ান্দা মেট্রোপলিটনো স্টেডিয়ামে ইউরোপা লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে গেছে আর্সেনাল। আর দুই লেগ মিলে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে পার্ক অলিম্পিকের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

এমিরেটস স্টেডিয়ামে দুই দলের প্রথম লেগটা ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। প্রথম লেগে ১০ জনের দল হয়ে পড়া ডিয়েগো সিমিওনের দলের বিপক্ষে এগিয়ে যাওয়ার পরও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল গানারদের। পরশু সেই সুবিধা আদায় করতে না পারার খেসারতটাই দিতে হলো ওয়েঙ্গারের শিষ্যদের। সেই সঙ্গে ইউরোপা লিগ থেকে ছিটকে পড়ায় আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বপ্নও বিসর্জন দিতে হচ্ছে আর্সেনালকে।

পরশুর জয়ে গত আট বছরে তৃতীয়বারের মতো ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এর আগে ২০১০ ও ২০১২ সালে দুইবারই শিরোপা জয় করেছিল সিমিওনের দল।

মেট্রোপলিটনোতে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে দুই দল। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে উঠেছিল ম্যাচটি। তবে ডাগআউটে ওয়েঙ্গারকে দেখা গেলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে ছিলেন না সিমিওনে। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি তাকে দেখতে হয়েছে প্রাইভেট বক্সে বসে। বিজয়ী গোল ও ফাইনালে উঠার উদ্যাপনও সেখানে করতে হয়েছে তাকে।

প্রথমার্ধেই আর্সেনালের জন্য ধাক্কা হয়ে আসে ডিফেন্ডার লরেন্ট কসচিয়েলনির গোড়ালির ইনজুরি। ১২ মিনিটের সময় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় এই ৩২ বছর বয়েসী খেলোয়াড়কে। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটাও বিসর্জন দিতে হচ্ছে তাকে। তবে ধাক্কাটা সামাল দিয়ে আর্সেনাল ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরে আসে। আক্রমণে ধার বাড়ালেও স্বাগতিকদের শক্তিশালী রক্ষণভাগের কারণে বারবার ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে গানারদের।

পরশু দুই দলের ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছেন ডিয়েগো কস্তা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে আন্তনিও গ্রিজম্যানের পাস থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন এই স্প্যানিশ ফরওয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই কয়েকটা সহজ সুযোগ পেয়েছিল। তবে আর কোন গোল দেখেনি মেট্রোপলিটনোর দর্শকরা।

ইউরোপা লিগ থেকে আর্সেনালের বিদায়ের ক্ষোভটা ম্যাচের পরপরই ঝাড়লেন ওয়েঙ্গার। সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘এটা খুব নিষ্ঠুর হতে পারে। আজকের রাতটা আমার জন্য অত্যন্ত বিষণœতম রাত।’

এছাড়া তিনি আগের ম্যাচের কথা টেনে এনে বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারিনি। ঘরের মাঠের আমরা ১০ মিনিটেরে মধ্যেই ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মারাত্মক ভুলে আমরা সেটা ধরে রাখতে পারিনি।’

পরশু ইউরোপা লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করার জন্য মাঠে নেমেছিল আরো দুইটি দল। ফিরতি লেগে অস্ট্রিয়ান ক্লাব সাল্জবুর্গ তাদের ঘরের মাঠ রেড বুল অ্যারেনায় স্বাগত জানিয়েছিল ফরাসী ক্লাব মার্শেইকে। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে সাল্জবুর্গ রূপকথার প্রত্যাবর্তন গল্পটা লিখে ফেলছিল প্রায়। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষে বাড়তি ত্রিশ মিনিটের খেলায় তাদের কপাল পুড়েছে মার্শেইয়ের হাতে।

প্রথম লেগে মার্শেইয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল সাল্জবুর্গ। ফাইনালে উঠার জন্য অস্ট্রিয়ান ক্লাবটির দরকার ছিল ৩-০ গোলের জয়। নির্ধারিত সময়ে দুই গোল দিয়ে দুই লেগের ব্যবধানটাতে সমতা নিয়ে আসে ক্লাবটি। ৫৩ মিনিটে সালজবুর্গকে প্রথম গোল এনে দেন আমদৌ হাইদারা। ৬৫ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি আসে বৌনা সারের আত্মঘাতী গোলে।

নির্ধারিত সময় শেষে খেলা গড়ায় বাড়তি ত্রিশ মিনিটে। সুবিধাটা তুলে নেয় মার্শেই। ১১৬ মিনিটে ফরাসী ক্লাবটির জয়সূচক গোলটি আসে রোলানদোর পা থেকে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে মার্শেই। আগামী ১৬ মে পার্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামের ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে আরেক ফাইনালিস্ট অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে।

ফলাফল

অ্যাট. মাদ্রিদ ১-১ আর্সেনাল

সাল্জবুর্গ ২-৩ মার্শেই

* দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে ব্যাবধানে এগিয়ে থেকে ইউরোপা লিগের তৃতীয়বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

* দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত

করেছে মার্শেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist