নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ মার্চ, ২০২৪

২৯ পণ্যের ৩টি মিলছে বেঁধে দেওয়া দামে

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ও সবজির মতো ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তবে সরকারের নির্ধারিত দামে বাজারে ৩টি ছাড়া কোনো পণ্য মিলছে না। বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামেই। গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মগবাজার, হাতিরঝিল কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নির্ধারিত দামে পণ্য কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।

গত শুক্রবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিমের সই করা প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন-২০১৮-এর ৪(ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো। প্রজ্ঞাপনে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া ২৯টি পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলে ধরা হয়। এর ভিত্তিতে উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পণ্যগুলোর দাম নির্ধারণ করার পাশাপাশি নিধারিত দামে বিক্রির অনুরোধ করা হয়। বলা হয়, ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৪৫.৭৮ টাকা। উৎপাদক পর্যায়ে দাম ১৫১.৮১ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ১৬২.৬৯ এবং খুচরা পর্যায়ে ১৭৫.৩০ টাকা। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩২০ টাকা কেজিদরে।

একইভাবে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গরুর মাংসের উৎপাদন খরচ ৫৮৭.৫০ টাকা। উৎপাদক পর্যায়ে দাম প্রতি কেজি ৬০৫.১৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৬৩১.৬৯ এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৬৪.৩৯ টাকা। ঘোষণা থাকলেও বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা। ডিমের (এক পিস) উৎপাদন খরচ ৮.৮১ টাকা। উৎপাদক পর্যায়ে দাম ৯.৫ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৯.৬১ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০.৪৯ টাকা। বাজারে দেখা যায়, ডিমের পিস ১১ টাকার ওপরে। ৫০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে ডিম।

নির্ধারিত দামে বাজারে পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হতে দেখা গেলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাঙ্গাস মাছের কেজি রোজার আগে থেকেই ১৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করছেন। দাম বেঁধে দেওয়ায় দাম কমেছে এমনটি নয়। ক্রেতা সোহেল রানা প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, জিনিসপত্রের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার, কিন্তু সেই দামে বিক্রি হয় না। কাল দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে অথচ কোনো জিনিসের দাম ১ টাকাও কমেনি। সরকারের কাছে আমাদের কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। দু’বেলা খেয়ে বেঁচে আছি- এটাই অনেক কিছু।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তৌহিদ মো. রাশেদ খান বলেন, বাজারে এ পণ্যগুলোর চাহিদা বেশি, সেজন্য এগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কি না, তা মনিটরিংয়ের জন্য সোমবার মাঠে নামবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও অনেক সময় সেই দামে বিক্রি হয় না। সেক্ষেত্রে অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রির বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেজন্য প্রশাসন, ব্যবসায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সবার সহযোগিতা কামনা করি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close