নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে সব ট্রেন

ট্রেনে একের পর এক নাশকতার ঘটনায় নিহত হয়ছেন বেশকিছু যাত্রী। নাশকতা এড়াতে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে সরকারি বাহন ট্রেনকে। রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এরই মধ্যে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে আন্তঃনগর ট্রেন এবং পরবর্তী সময়ে বাকি ট্রেনগুলোকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। মূলত যাত্রীদের কাছে যেসব ট্রেনের চাহিদা বেশি, সেসব আন্তঃনগর ট্রেনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, গত ১৬ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইল স্টেশনে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের কোচে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনার দুদিন পর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়ী স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। ২২ নভেম্বর রাতে সিলেট রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি কোচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ১৩ ডিসেম্বর রেলওয়ের ভাওয়াল গাজীপুর এবং রাজেন্দ্রপুর সেকশনে ২০ ফুট রেললাইন কেটে ফেলা হয়। কেটে ফেলা ওই রেললাইনে দুর্ঘটনায় পড়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনের ইঞ্জিন এবং ৬টি কোচ লাইন থেকে ছিটকে পড়লে একজন নিহত হন। আহত হন অনেকে। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে মা ও শিশু সন্তানসহ চারজন জীবন্ত দগ্ধ হন। আহন হন আরো আটজন। ৫ জানুয়ারি রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এ আগুনে দগ্ধ হয়ে চার যাত্রীর মৃত্যু হয়। এসব ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোয় সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। শুধু ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে তা নয়, পাশাপাশি যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই, সেখানেও লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার রেলস্টেশনগুলো পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে। যেকোনো নাশকতা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে এসব এটি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান জানান, হরতাল-অবরোধে ট্রেনকে ঘিরে বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটছে। এসব নাশকতা এড়াতে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে। প্রথমে কয়েকটি ট্রেনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন এর আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, ট্রেনে সিসি ক্যামেরা থাকলে, নাশকতার পাশাপাশি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপও রোধ করা যাবে। নাশকতা কিংবা পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটালে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সহজ হবে। প্রথম পর্যায়ে সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, ১০ জানুয়ারি থেকে ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতী ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে লাগানো হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে ১২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোয়ও এরকম ক্যামেরা লাগানো হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close