ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৭ জুন, ২০১৯

পাকিস্তান বলেই বিশ্বকাপে ধারাবাহিক ভারত

সেই বৃষ্টি ঠিকই এসেছিল। কিন্তু ম্যাচের নায়ক হতে পারেনি। হয়েছে ক্ষণিকের খলনায়ক। তবে বৃষ্টি বিড়ম্বনায় কার্টল ওভারে ম্যাচকে ফেলতে পারেনি। আগের ৬ দেখায় সবকটি ম্যাচ জেতা ভারত ধারাবাহিক ছিল এ লড়াইয়েও। ¯œায়ু উত্তেজনার পারদে উপচে পড়া ম্যাচে ভারত ছুড়ে দিয়েছে ৩৩৭ রানের রেকর্ড টার্গেট। বিশ্বকাপ বলেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচেও ভারত ছিল ধারাবাহিক। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তান তুলেছে ১৩ ওভার শেষে তুলে ১ উইকেটে ৫১।

বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড রান আরেকটি বিজয়ের যাত্রাপথকে যেন বাতলে দিয়েছে। জিততে হলে বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়তে হবে পাকিস্তানকে। ৪৬.৪ ওভারে বৃষ্টির নেমে আসে। ফলে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা।

বৃষ্টির চোখ রাঙানির কথা জানা ছিল বলেই টস জিতেই বোলিং নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু শুরুতেই প্রলম্বিত ব্যাটিং সাইডের ভারতের ভিত কাঁপাতে পারেননি পাকিস্তানের বোলাররা। নির্বিঘেœ ব্যাটিং অধ্যায় শেষ করেছে ভারত। ভারতের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। তারা নির্বিষ পাকিস্তানের বোলিংকে ব্যাট হাতে চিড়ে চ্যাপটা করেছেন। ওপেনার রোহিত শর্মার সেঞ্চুরির পাশে লোকেশ রাহুলও চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং ছন্দে ভক্তদের উজ্জীবিত করেছেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। ম্যানচেস্টারর ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৮৫ বলে সেঞ্চুরি করেন সহ-অধিনায়ক। তার ধুন্ধমার ব্যাটিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তানের বোলিং অধ্যায়। এর আগে ২০১৮ সালে দুবাইয়ে এশিয়া কাপের শেষ দেখায় পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১১১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত। রাহুলের সঙ্গে ১৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে বড় পুঁজির পথ রচনা করেন তিনি। রাহুল ৭৮ বলে একটু স্থির ব্যাটিং করে তুলেছেন ৫৭ রান। ওয়াহাব রিয়াজের বলে বাবর আজমকে সহজ ক্যাচ দিয়ে রাহুল ফিরলেও শিখর ধাওয়ানের অভাবটা বুঝতে দেননি। বিরাট কোহলিকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে সেঞ্চুরির পথে সহজে হাঁটা দিয়েছেন রোহিত। এর আগে এই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন রোহিত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ধারবাহিক ছিলেন মুম্বাইকর, করেছেন ৫৭। বিরাট কোহলির সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি গড়ে রোহিত। ৮৫ বলে তিন অঙ্ক ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪০ (১১৩) রানের ইনিংস খেলেন। মাত্র ৪ রানের জন্য অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে টপকাতে পারেননি তিনি। ২০০৩ বিশ্বকাপে ১৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন অজি ব্যাটসম্যান।

ক্রিকেটীয় পরিভাষার ডেথ ওভারে মোহাম্মদ আমির পরপর দুই ওভারে হার্দিক পান্ডিয়া (২৬) ও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (১) ফিরিয়ে দিয়ে নিজের ধারাবাকিতা ধরে রাখেন। আর পরের ওভারে আমিরের তৃতীয় শিকার হয়েছেন ৬৫ বলে ৭৭ রান করা কোহলি। আমিরের ৩ উইকেট পাকিস্তানের সেরা ফিগার। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান ও ওয়াহাব।

এই ম্যাচে বিরাট কোহলি মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে ছাপিয়ে রানের নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। ওয়ানডেতে দ্রুততম ১১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করছেন কোহলি। এই ম্যাচে নামার আগে ২২১ ইনিংসে তিনি করেন ১০ হাজার ৯৪৩ রান ছিল। ৫৭ রান করে তিনি হয়ে গেলেন ১১ হাজারির এলিট ক্লাবের নতুন সদস্য। অন্যদিকে, ১১ হাজারের ক্লাবে প্রবেশ করতে শচীনের লেগেছিল ২৭৬ ইনিংস। সেখানে ২২২ ইনিংস খেলেই বিরাট টপকে গেছেন ভারতের ব্যাটিং ঈশ্বরকে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close