আদালত প্রতিবেদক

  ২১ জানুয়ারি, ২০১৯

ধর্মীয় উসকানির মামলা

খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার পরবর্তী সময়ে শুনানির জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। গতকাল রোববার পুরান ঢাকার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস দিন নির্ধারণ করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, আদালতে ১১ মামলার শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সেসব মামলা হাইকোর্টে স্থগিত থাকায় সময়ের আবেদন করা হয়। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক নতুন দিন নির্ধারণ করেন।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে মিরপুরের দারুস সালাম থানায় নাশকতার আট মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদ-ে দ-িত হয়ে বর্তমানে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন।

এর আগে ৩০ জুন দুই মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। এরপর মামলার বাদী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

ধর্মীয় উসকানির মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের একপর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবর-দখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’

ওই বক্তব্যের জের ধরে দ-বিধির ১৫৩(ক) ও ২৯৫(ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর নালিশি মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close