আদালত প্রতিবেদক

  ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯

গ্যাটকো মামলা

খালেদা জিয়ার পায়ে ‘ফোঁড়া’ আদালতে যাননি

পায়ে ‘ফোঁড়া’ ওঠায় পরোয়ানা থাকার পরও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে হাজির করা যায়নি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। ফলে পিছিয়ে গেছে শুনানির দিন; নতুন তারিখ ২৪ জানুয়ারি। গতকাল বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালতে এই শুনানির দিন ছিল। এই শুনানিতে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে গত ১০ জানুয়ারি প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছিলেন একই বিচারক।

এদিকে, কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বাসে আগুন দিয়ে আটজন হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ও জামিন আবেদনের শুনানি ফের পিছিয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু জানান, গতকাল কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবরের আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠন ও জামিন আবেদন শুনানির দিন ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ সময় চেয়ে আবেদন করায় বিচারক দিন পিছিয়ে দেন। তবে পরবর্তী দিন ঠিক করেননি বিচারক। পরে ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে গত ৭ জানুয়ারি কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজের পদ অবসরজনিত কারণে শূন্য থাকায় অভিযোগ গঠন ও জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়ে যায়।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে আছেন বিএনপি প্রধান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। তাকে হাজির করতে পারিনি। তার অনুপস্থিতিতে অন্য আসামিদের পক্ষে শুনানি শুরু করার আবেদন জানিয়েছিলাম। শুনেছি তার (খালেদা জিয়া) পায়ে ফোঁড়া উঠেছে, এজন্য তিনি আসেননি। আসামি পক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার পায়ে একটি সমস্যা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছ থেকে শুনেছি। এদিন আসামি পক্ষ শুনানি পেছানোর আবেদনও করে। পরে আদালত ২৪ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করে ওইদিন সব আসামিকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেন।

জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণে নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো মারা গেছেন। মামলাটিতে বর্তমান আসামির সংখ্যা ২০ জন। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close