ইয়াসমীন রীমা

  ২২ মার্চ, ২০১৮

বিশ্লেষণ

পূর্বসূরি-মিলেনিয়াম প্রজন্ম

ইতিহাসের গতিপথ কোনোদিনই সরল ও মসৃণ নয়। দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের মধ্য দিয়েই মানুষ উত্তরিত হয়ে থাকে যুগ থেকে যুগান্তরে। ইতিহাসের এ অমোঘ দ্বান্দ্বিক নিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে এক যুগের সঙ্গে আর এক যুগের এক প্রজন্মের সঙ্গে আর এক প্রজন্মের আত্মিক দূরত্ব ও ব্যবধানকে স্বভাবত চিহ্নিত করা যায় চলমান সমাজের এক স্বাভাবিক লক্ষণ রূপে। কিন্তু আজকের দিনে পৃথিবীর সর্বত্র এই প্রজন্মগত ব্যধানের জটিলতা এক বিশেষ সামাজিক সমস্যা রূপে অনেকেরই উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। আজকের তরুণ মিলিনিয়ামের তরুণ। একুশ শতকের খোলা দরোজা দিয়ে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ছে তারা। ব্যক্তি স্বাধীনতা শব্দটি এদের প্রিয় উচ্চারণ। সমাজ জীবন, সাংস্কৃতিক জীবন, শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন, ফ্যাশন, অন্ধকার জীবন সব ক্ষেত্রে বদলে যাওয়ার পট। প্রাচীন কিংবা প্রথাগত মূল্যবোধে তাদের স্বস্তি নেই। আত্মসচেতন এবং পরিবর্তনবিলাসী এ তরুণ প্রজন্মেরা নিজেরাই নিজেদের আচরণবিধি নির্ধারণ করেছেন, মূল্যবোধ গড়ে তুলছেন। ধর্মীয়, রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক বিধিনিষেধ মানছেন না। তাদের প্রতিদিনকার আনন্দ, উল্লাস, জীবনযাপন প্রতিযোগিতায় মোটেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারছে না যাবতীয় রীতি-নীতি বিধিনিষেধ। মনোবিশ্লেষক এরিখসনের মতো, মানুষের ভেতর সেন্স অব আইডেনটিটি তৈরি হয় এ তরুণ বয়সে। সে প্রশ্ন করে আমি কে? নিজেকে স্বাধীনচেতা ঘোষণা করতে গিয়ে তৈরি করে দ্বন্দ্ব, হতাশা ও মানসিক চাপ। তবু সর্বোপরি স্বাধীনচেতা তরুণ্যের ধর্ম। যৌবন সবর্দাই তো প্রতিবাদী। প্রথাগত ধ্যান-ধারণায় তার অবজ্ঞা শাশ্বত সত্যি। এর ফলেই এক প্রজন্মের কিশোর-তরুণ তার আগের প্রজন্মের প্রথাসিদ্ধতাকে প্রশ্ন করে এবং তৈরি করে নিজের প্রজন্মের ধারা, যাকে তার পরের প্রজন্মে ওই একইভাবে অস্বীকার করে। এ অস্বীকারেই সভ্যতা গড়ে ওঠে। সমাজচলিষ্ণু হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অমিত রায়কে দিয়ে বলিয়ে ছিলেন, ‘সম্ভব পরের জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকাই সভ্যতা।’

অবশ্য এ কথাও অস্বীকার করা যায় না যেসব যুগের মানুষের মনে স্বতঃস্ফূর্ত গর্ব ও শ্রদ্ধার ভাব উদ্রেক করার মতো খুব বড় মাপের কালজয়ী ঐতিহ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। ফলে সমাজব্যবস্থায় পিছুটান স্বভাবতই কম; পুরোনো ধারা তাই অতি সহজেই পথ ছেড়ে দেয় নতুন রীতি ও অভ্যাসকে। কিন্তু যে সমাজে সনাতন আদর্শের উত্তরাধিকার অত্যন্ত শক্তিশালী এবং যেখানে পুরোনো জীবনচর্যার গর্ভ থেকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নতুনের জন্ম হয়নি, অর্থাৎ যেখানে সামাজিক আচার-আচরণের ক্রমবর্ধমান আধুনিকতার সমাজের অনগ্রসর বস্তুগত আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পূর্ণ সংগতিহীন, সেখানে প্রজন্মগত ব্যবধান প্রবল হয়ে উঠে সমাজের স্থিরতায় বিঘœ ঘটাতে পারে। বস্তুত এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেশে আজ প্রজন্মের ব্যবধান এক গুরুতর সামাজিক সমস্যা হয়ে উঠেছে। এ মুহূর্তে যেসব সামাজিক বিরোধের প্রতিবন্ধকতায় আমাদের সমাজ জীবনের সচ্ছলগতি ব্যাহত নিঃসন্দেহে তাদের অন্যতম হলো প্রজন্মগত ব্যবধান। আমাদের সামাজিক সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে ও মানসিকতায় নতুন প্রজন্মের অবস্থান আজ পুরোনো প্রজন্ম থেকে অনেক দূরে। দূরত্বের ফলে ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সময়ই হলো সমাজ প্রগতির অন্যতম ধারক ও বাহক।

আজকের দিনে আমাদের সমাজে অনেক পরিবারেই দেখা যায় যে তরুণ বয়সী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বাবা-মা এবং পরিবারের অন্য বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্পর্ক খুবই কৃত্রিম। যেখানে শ্রদ্ধা, ভালোবাসার ও মমতার শক্ত বাঁধন নেই। একই ছাদের তলায় বাস করেও পরিবারের তরুণ গোষ্ঠী পারিবারিক জীবনের মূল স্রোত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চান। এদের অনেকের কাছেই গৃহজীবন এক দুঃসহ বন্দিশালা। তাই দিনের অধিকাংশ সময়েই এরা থাকেন গৃহের বাইরে এবং দেখা যায় তরুণ বন্ধুদের সাহচর্যে প্রাণময় ও উচ্ছল সেই তরুণই পরিবারের চার দেয়ালের মধ্যে কঠোর গাম্ভীর্য ও নিরাসক্তির বর্ম এঁটে থাকেন। বাপ-মায়ের মূল অভিযোগ সন্তানের জন্য তারা উদয়ান্ত পরিশ্রম করেন এবং তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা, স্বচ্ছ ও স্বাধীনতার ব্যাপারে তারা সততই উদার। তবু তাদের ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের প্রতি আচরণে অকারণে রুক্ষ সহিষ্ণু, নির্মম ও অসহযোগী। ছেলেমেয়েরা তাদের প্রকৃত শুভাকাক্সক্ষী ও কাছের মানুষ বলে ভাবতে পারে না। তাদের উদ্বেগ ও উপদেশ উপেক্ষা করে পদে পদে তারা আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর ও স্বেচ্ছাচারী এবং জীবনচর্যায় ও আচার আচরণে উগ্রতাই তাদের কাছে আধুুনিকতার প্রতীক। প্রবীণরা আধুনিক প্রজন্মকে বিচার করার চেষ্টা করেন তাদের পুরোনো দিনের প্রচলিত মূল্যবোধের মানদ- দিয়ে। এ কারণে তরুণ সম্প্রদায়ের সব বিষয়ে সততই সোচ্চার। কিন্তু এমন খেদোক্তি ও সমালোচনা নিরন্তর উচ্চারিত হওয়ায় অবশেষে তা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলেই শেষ পর্যন্ত তারা প্রবীণদের উপদেশ ও পরামর্শ সম্পর্কে অসহিষ্ণু হয়ে পড়েন। দুই পক্ষের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে যে নিষ্ঠুর সত্যটি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে তা হলো এই যে প্রজন্মের দূরত্বের প্রভাবে আমাদের সমাজে আজ পারিবারিক সম্পর্ক দ্রুত ভাঙনের মুখে। পরিবারগুলোয় আমাদের বর্তমান রীতি প্রবীণ প্রজন্ম সব সময়ই তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে চান উপদেশ দিয়ে; কিন্তু ব্যক্তিগত দৃষ্টান্ত দিয়ে নয়। প্রত্যেক অভিভাবকই চান যে তাদের ছেলেমেয়েরা প্রকৃত চরিত্র গুণে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে অনেক অভিভাবকই এমন কাজ করে থাকেন, যা আদৌ সৎগুণের পরিচারক নয়। উচ্চবিত্ত পরিবারে অনেক বাপ-মা নিজেদের সামাজিক প্রতিষ্ঠা উন্নতির ব্যাপারে এতই ব্যস্ত থাকেন, ছেলেমেয়েদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়ার মতো আগ্রহ ও অবকাশ তাদের থাকে না। এই ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের জন্য তারা বরাদ্দ করেন অবাধ আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ও বিলাসিতা। কিন্তু বিলাসিতা ও বিত্তের সম্ভারে স্বভাবতই তরুণদের হৃদয়ের বৃত্তি হয় না। তাদের বুভুক্ষ মনে জমা হতে থাকে ক্ষোভ ও অভিমান। ফলে অনেক সময়ই তারা বিপথগামী হয়ে পড়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোয় আজকাল একটি নতুন উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। মধ্যবিত্তের সামাজিক অবস্থান স্বাভাবিকভাবেই তাদের উচ্চাশার শিকার করে তোলে। এই উচ্চাশা পূরণের উপযুক্ত সামগ্রী আয়ত্তে না থাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক অভিভাবকই হতাশা ও হীনম্মন্যতায় ভোগেন এবং নিজেদেংর জীবনযুদ্ধে পরাজিত বলে মনে করেন। ছেলেমেয়েরা একটু বড় হলেই এসব অভিভাবক তাদের আত্মজদের সাফল্যের মধ্য দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত হতাশাকে দূর করতে চান। কার্যত একেবারে গোড়া থেকেই তারা ছেলেমেয়েদের মনে সযতেœ ঢুকিয়ে দেন তীব্র প্রতিযোগিতার মানসিকতা এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে জয়লাভের দুর্বার আকাক্সক্ষা। কিন্তু মনস্তত্ত্বের সাধারণ নিয়মানুসারে এর ফলে ছেলেমেয়েরা অতিমাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর হয়ে পড়ে এবং পরিবারের অভ্যন্তরে এ আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বার্থপরতা নগ্নভাবে ব্যক্ত হতে থাকে। আবার কোনো কোনো প্রাচীনপন্থি পরিবারে তরুণদের ওপর ব্যাপক বিধিনিষেধ কঠোরভাবে আরোপিত হয় যে, ছেলেমেয়েদের কাছে পারিবারিক পরিবেশ দুঃসহ হয়ে ওঠে এবং সঙ্গোপনে তাদের মনের কোণে একটা নিষেধ অমান্য করার প্রবণতা দানা বাঁধতে থাকে। সামান্য সুযোগেই এসব ছেলেমেয়ে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের আবর্তে জড়িয়ে পড়ে।

প্রজন্মের দূরত্বে দুটি ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এবং পরিবার পরিচালনার প্রচলিত রীতি। যে দেশের সনাতনী মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা উল্লেখ করছি, তরুণ সম্প্রদায়কে তার দ্বারা অনুপ্রাণিত করার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো শিক্ষাব্যবস্থা। কিন্তু দুভার্গ্যক্রমে পশ্চিমী প্রভাবে আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে মূল্যবোধ-নিরপেক্ষ হয়ে উঠেছে। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম কেবল বস্তুতান্ত্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও জাগতিক তথ্যের ভারে ভারাক্রান্ত। কিন্তুু মনুষ্যত্বের উন্মেষ ঘটাতে আচার-আচরণে ও অভ্যাসে যেসব ভালো গুণের সক্রিয়তা বাঞ্ছনীয়, সেগুলোকে উৎসাহিত করার মতো উপযুক্ত উপাদানের বড়ই অভাব আমাদের বর্তমান শিক্ষায়। বস্তুত, আজকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিণত হয়েছে শিক্ষার কারখানায়, যেখানে আগামী দিনের সফল বৃত্তিধারী তৈরি হয়, সঠিক মানুষ তৈরি হয় না। আমরা সব সময়ই আশা করি, আমাদের তরুণ প্রজন্ম সৎ, বিবেকবান, নীতিনিষ্ঠ ও আদর্শনিষ্ঠ হয়ে উঠবেন। কিন্তু যে আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় তারা লালিত হচ্ছেন, সেখানে এ বিষয়ে প্রেরণা কোথায়? শিক্ষা যে শুধু আনুষ্ঠানিক স্তরেই সীমাবন্ধ থাকে না। দেশের শিল্প, সাহিত্য এবং গণ-জ্ঞাপন ও বিনোদনের মাধ্যমগুলোও তরুণদের শিক্ষায় গুরুত্বপূূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু এখানে আজ কোনো নীতিহীনতা ও আদর্শহীনতাই নিন্দনীয় বলে বিবেচিত হয় না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, আমাদের সমাজে প্রজন্মগত ব্যবধান মূলত শিক্ষিত উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির সমস্যা। অশিক্ষিত খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে প্রজন্মগত ব্যবধান কোনো সমস্যা নয়। কারণ জীবন-সংগ্রাম এতই কঠিন যে, দুই প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি ধারণা ও আচার-আচরণের পার্থক্য নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় এখানে কারুরই নেই। কারণ প্রাণ ধারণের তাগিদে এখানে তরুণ প্রজন্ম প্রায়ই স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে কায়িক পরিশ্রমের উদ্যোগে যূথবদ্ধ হয় প্রবীণ প্রজন্মের সঙ্গে। জীবন-সংগ্রামের রূঢ়তাই এখানে দুই প্রজন্মের মধ্যে সহমর্মিতা ও সংঘবদ্ধতা নিয়ে আসে। বিপরীতে উচ্চবিত্ত শ্রেণির তরুণ প্রজন্মের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় এক বিচিত্র মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। এখানে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যে লালিত তরুণরা শুরু থেকেই জীবন-সংগ্রামে বিমুখ হয়ে পড়েন। জীবনের কঠোর বাস্তব সম্পর্কে নিতান্ত অনভিজ্ঞ হওয়ায় তাদের মানসিকতায় দেখা দেয় লঘুতা, হঠকারিতা এবং যেকোনো নিয়ম ও নিয়ন্ত্রণকে তুচ্ছ করার প্রবণতা। অন্যদিকে মধ্যবিত্ত শ্রেণির সমস্যা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। আধুনিক শিক্ষা ও নগর সংস্কৃতির প্রভাবে মধ্যবিত্ত তরুণদের আশা-আকাক্সক্ষা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী অথচ তাদের সামাজিক অবস্থানই তাদের এ আকাক্সক্ষা পূরণে বাধা। এভাবে স্বপ্ন ও বাস্তবের মধ্যে গরমিল ঘটতে থাকায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির তরুণ সম্প্রদায় পদে পদে ব্যর্থতা ও বঞ্চনাবোধের শিকার হন। এই হতাশাই তাদের রুক্ষ ও অসহিষ্ণু করে তোলে প্রবীণদের প্রতি আচরণে।

এক কথায় প্রজন্মের দূরত্ব নিয়ে বিচলিত প্রবীণ প্রজন্মের আজ সর্বাগ্রে আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন। প্রখ্যাত এক-বাঙালি লেখকের সম্প্রতি প্রকাশিত এক উপন্যাসে দেখা যায়, আত্মগ্লানিতে বিদগ্ধ এক সন্তান আত্মহত্যাকালে তার বাবার জন্য রেখে গেছে এক চিরকুট, তাতে লেখা ‘বাবা পারো তো জীবনের ধারাটা বদলাও। এখনো সময় আছে’ এই কথা মাত্র একজন বাবার উদ্দেশে লিখিত হয়নি প্রকৃতপক্ষে এই সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে আজকের লাখ লাখ পরিবারের অভিভাবকদের প্রতি। বস্তুত প্রবীণরা যদি নিজেদের বদলাতে না পারেন, তাহলে তরুণ প্রজন্মকে তাদের জীবনধারা বদলাতে বলার কোনো অধিকার তাদের নেই।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist