মো. জুনাইদ কবির, ঠাকুরগাঁও

  ০৩ আগস্ট, ২০২২

শেষমেশ বৃষ্টি ফসলের মাঠে প্রাণচাঞ্চল্য

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ভরা বর্ষা মৌসুমেও খরা ও তীব্র গরমের পর অবশেষে দেখা মিলেছে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির। এতে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে ফসলের মাঠে। দীর্ঘদিন প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করা কৃষকও বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে হেসে ওঠেন। পতিত জমিও সেই আনন্দে প্রস্তুত হচ্ছে আমনের চারা রোপণে।

জানা যায়, বর্ষাকালের প্রথম দিকে বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। কিন্তু এরই মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন তারা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাস্টারপাড়া, নারগুন, খোঁচাবাড়ী, বেগুনবাড়ী, জগন্নাথপুর, দানারহাট, রানীশংকৈল, শিবগঞ্জ, রহিমানপুর, জামালপুর, পীরগঞ্জ, হরিপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দিনের বৃষ্টিতে খালবিল পানিতে ভরে উঠেছে। ফলে এত দিন ফেলে রাখা জমিগুলোতে আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বৃষ্টির কারণে সেচের খরচ বেঁচে যাবে বলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন তারা।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার কৃষক রমজান আলী বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার আষাঢ় মাসে বৃষ্টি অনেক দেরিতে হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় টাকা খরচ করে জমিতে সেচ দিয়ে চারা লাগানো হয়েছিল। এখন বৃষ্টি হওয়ায় আমরা খুব খুশি।

হ?রিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের বাবুল হোসেন পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, এ সময় বৃষ্টি আমন ধানের জন্য খুবই দরকারি। বৃষ্টি না হলে সেচ দিয়ে আমন ধান আবাদ করা কঠিন। বৃষ্টি হওয়ায় সেচের বাড়তি টাকা খরচ থেকে রেহাই পেয়ে কৃষকরা সবাই খুশি।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, কয়েক দিনে প্রায় ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে সংকট কেটে গেছে। দেরিতে হলেও আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকরা মাঠে নেমে চারা রোপণে ব্যস্থ হয়ে পড়েছেন। এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ জমিতে চারা লাগানো হয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬ টন চাল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close