এক মাসে তালিকাভুক্ত ১১টি কিশোর গ্যাংয়ের মোট ৬২ জনকে আটক করা হয়েছে। শুধু কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যই নয়, তাদের পেছনে যারা ইন্ধনদাতা ও মদদদাতা হিসেবে কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চলবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-২)-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম।

সাইফুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করে আসামিদের তালিকা তৈরি করে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ ও দারুস সালাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং ‘ডন সাগর’ ও ‘মুন্না গ্রুপ’-এর ১৬ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। এরা হলো মো. সাগর, মো. সরফরাজ আহমেদ রিমন, মো. রায়হান, মো. পলাশ হোসেন, মো. মুন্না, মো. রাসেল, মো. উজ্জ্বল হোসেন, শাকিল হাওলাদার, মো. মুরাদ হোসেন, মো. মামুন খান, রিফাদ হোসেন, মো. রায়হান, হাসান শেখ, মো. হাসনাইন, মো. নাসির উদ্দিন আলবানী ও জয়চন্দ্র ঘোষ। তাদের কাছ থেকে ১১টি ছুরি, একটি চাপাতি, তিনটি ফোল্ডিং চাকু ও একটি খুর জব্দ করা হয়।

গতকাল সোমবার মোহাম্মদপুরে বসিলার র‌্যাব-২-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল আলম বলেন, ‘আটক হওয়া এসব কিশোর অপরাধী স্থানীয়ভাবে কিশোর গ্যাং ‘ডন সাগর গ্রুপ’ ও ‘মুন্না গ্রুপ’-এর সদস্য হিসেবে পরিচিত। তারা সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ টিকটক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। প্রায়ই তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার জন্য দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয় দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে।’ লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে তারা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে

ঘিরে ধরে। এরপর আশপাশে কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত।’

এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুল আলম বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ে ইন্ধনদাতা হিসেবে যদি প্রভাবশালী কেউ, এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কেউ জড়িত থাকেন তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আমরা এরই মধ্যে কমিয়ে এনেছি।’

"