প্রতিবেশী দেশ ভারতে ভয়াবহ করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। অবনতিশীল কোভিড পরিস্থিতিতে ভারতের জনগণের জন্য সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশের ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রীর দ্বিতীয় চালান এটি। ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান গতকাল ভারত সীমান্তের পেট্রাপোলে ভারত সরকারের প্রতিনিধির কাছে ২৬৭২ কার্টন ৪টি ট্রাকে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের করোনাপ্রতিরোধী ইনজেকশন, ক্যাপসুল, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ ১৮ ধরনের চিকিৎসাসামগ্রী হস্তান্তর করেন। এ সময় নয়াদিল্লির রেড ক্রস সোসাইটির কর্মকর্তাসহ উভয় দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৬ মে প্রথম চালানে ১০ হাজার ‘ভায়াল’ রেমডেসিভির ইনজেকশন হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ভারতের কোভিড আক্রান্ত জনগণের জন্য চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে এসব চিকিৎসাসামগ্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাধ্যমে ভারতে পাঠানো হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে ট্রাক ৪টি বেনাপোল চেকপোস্টে আসার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ভারতে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান ওষুধসামগ্রী গ্রহণ করেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, ৪টি ট্রাকে ২৬৭২ কার্টন ওষুধসামগ্রী উপহার হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। এসব ওষুধের মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। এখানে করোনা প্রতিষেধক ১৮ ধরনের ওষুধ রয়েছে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রবি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম রবি জানান, কাস্টমস ও বন্দরে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করেই ভারতে এ ওষুধসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কোভিড বিস্তারের কারণে ভারতে প্রাণহানির ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছে। এই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশ সহমর্মিতা নিয়ে তার কাছের প্রতিবেশী ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং জীবন রক্ষায় সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে। ভারতের জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে বাংলাদেশের জনগণ প্রার্থনা করছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ভারতকে আরো সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

"