নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ জুন, ২০১৯

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরো আধুনিক করতে হবে

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক করতে হবে। এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এখন যে ভূমি ব্যবহার হচ্ছে, তার পরিমাণ কমানো যাবে। পরিবেশবান্ধব ও মানসম্মত উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ২০টি দফতর/সংস্থার চলতি অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সভা দুটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘আমিনবাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ প্রকল্পের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্থায়ী সমাধানে ৮২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে তিন বছরে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের আওতায় ৬৮ হাজার ২০০ বর্গমিটার জমিতে দৈনিক ৫০০ টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি প্লান্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মাধ্যমে বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এ ছাড়া ১৩ হাজার ৬০০ বর্গমিটার জমিতে মেডিকেল বর্জ্য ও ১৬ হাজার বর্গমিটার জমিতে বর্জ্য রিসাইকেল ফ্যাসিলিটিজ স্থাপনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শুধু ইনসিনারেশন চালু হলে এক বছরের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ল্যান্ডফিলের লাইফ তিন গুণ বৃদ্ধি করা যাবে। বিদ্যমান আমিনবাজার ল্যান্ডফিলের যে ধারণক্ষমতা, সেখানে আর দুই বছর পর্যন্ত বর্জ্য ফেলা সম্ভব। এ কারণে নতুন ল্যান্ডফিল নির্মাণ, ইনসিনারেশন প্লান্ট বসানো, রিসোর্স রিকভারির জন্য অবকাঠামোর সুযোগ স্থাপন, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কম্পোস্ট প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ‘আমিনবাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এদিকে গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে এর আওতাধীন ২০টি দফতর/সংস্থার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে কাজের গতি ও জবাবদিহি বাড়বে এবং সম্ভাব্য উপকারভোগীরা লাভবান হবেন। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের পর সংশ্লিষ্ট সংস্থা এ চুক্তি বাস্তবায়ন এবং নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। তিনি আরো বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়; এ চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় রূপকল্প ২০২১ অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

চুক্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষে স্বাক্ষর করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং বিভিন্ন দফতর/সংস্থার পক্ষে স্বাক্ষর করেন দফতর/সংস্থাপ্রধান অথবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা। যে ২০টি দফতর/সংস্থার পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়, সেগুলো হলোÑ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট, রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, চট্টগ্রাম ওয়াসা, খুলনা ওয়াসা, রাজশাহী ওয়াসা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, খুলনা সিটি করপোরেশন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, বরিশাল সিটি করপোরেশন, সিলেট সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, রংপুর সিটি করপোরেশন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন।

উল্লেখ্য, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদনা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close