জিয়াউদ্দিন রাজু

  ১০ মে, ২০১৯

লোভনীয় ফ্যামিলি প্যাকেজ ধানমন্ডিতে

রাজধানী ঢাকার ইফতারে একেক এলাকায় একেক ধরনের ভিন্নতা থাকে, থাকে নানা ধরনের আকর্ষণীয় প্যাকেজ। ধানমন্ডির ইফতারও বেশ জনপ্রিয়। সেখানে রয়েছে লোভনীয় ফ্যামিলি প্যাকেজ। একটি প্যাকেজের দাম ৩০০ থেকে ১ হাজারের মধ্যে। থাকছে বিশেষ মূল্য ছাড়। স্থানীয়দের কাছে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি লোভনীয়। পুরান ঢাকার খাবারের সঙ্গে নতুন ঢাকার খাবারের মধ্যে পার্থক্যটা ইফতারির বাজার থেকেই সুস্পষ্ট। ধানমন্ডির বেশ কিছু রেস্তোরাঁর সামনের অংশে বিভিন্ন ইফতারির আইটেম নিয়ে দুপুরের পর থেকেই বসে পরেন বিক্রেতারা। আর ক্রেতাসমাগম পুরোদমে শুরু হয় ৫টা থেকেই। প্রতি বছরই বিচিত্র সব ইফতার আয়োজনে আলোচনায় থাকে ধানমন্ডি এলাকার রেস্তোরাঁগুলো। বেচাকেনাও হয় হরদম।

ধানমন্ডির রেস্টুরেন্ট ও ফাস্ট ফুড দোকানগুলো জমে ওঠে বাহারি ইফতারির সমাহারে। ধানমন্ডিতে ইফতারির দোকানের মধ্যে কড়াই গোশত, ফকরুদ্দিন, স্টার কাবাব, লায়লাতি, লাজিজ, এইচএফসি, কেএফসি, ডিসেন্ট, মিয়ার শাহি ইফতারি, কলাবাগানের মামা হালিম, হটহাট, অলিম্পিয়া প্যালেস, আম্বালা, খাজানাসহ ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কের দুই পাশের বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁতে জমজমাট ইফতারি বেচাকেনা চলে।

এদিকে মৌসুমি ফলের পাশাপাশি ধানমন্ডির এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে হরেক রকমের জুস। আম, লিচু, আনারস, পেঁপে, তরমুজ, আপেল, মালটা, আঙুর, কমলাসহ হরেক রকম ফলের জুস কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকেই।

বিক্রেতারা জানায়, সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে মালটার জুস, প্রতি গ্লাসের দাম ৬০ টাকা। আপেল এবং তরমুজের জুস প্রতি গ্লাস ৮০ টাকায়, আনারস ও পেঁপের জুস ১০০ টাকায়, আঙুরের জুস ১৫০ ও লিচুর জুস ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি ফলের মিশ্রিত জুস বিক্রি হচ্ছে গ্লাসপ্রতি ১৫০ টাকায়।

সবার পছন্দের স্টার কাবাব : এসবের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ধানমন্ডির স্টার কাবাব। ধানমন্ডিস্থ স্টার কাবাবের দুটি শাখাতেই প্রায় ৪০টির মতো আইটেম নিয়ে বসে ইফতারি। স্টার কাবাবের খাবারে মধ্যে সাধারণের পছন্দের তালিকায় বারবার যে খাবারের কথা ওঠে এসেছে তা হলো, লেগ রোস্ট, লেগ কাবাব, চিকেন ফ্রাই, মাটন চাপ ইত্যাদি। সব শ্রেণির ক্রেতার কথা মাথায় রেখে স্টার কাবাব কিছুটা সুলভ মূল্যেই ইফতার সামগ্রী বিক্রি করছে।

ইফতারির আইটেমগুলোর মধ্যে, খাসির লেগরোস্ট ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, মাটন চাপ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, সুতি কাবাব পাওয়া যাবে একই দামে। চিকেন রোস্ট ৮০ থেকে ৩০০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ৪৫ টাকা, চিকেন কাটলেট ৪০ টাকায়, চিকেন সাসলিক ৪০ টাকা, চিকেন স্টিক ৩০ টাকা এবং চিকেন রোল পাওয়া যাবে ৫০ টাকায়। ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে চিকেন বল, চিকেন সমুচা, নারকেল সমুচা, পনির সমুচা, বিফ স্টিক, বিফ কাটলেট, স্প্রিং রোল, ভেজিটেবল রোল, জালি কাবাব, সামি কাবাব, টানা পরোটা এবং জিলাপি প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা দামে পাওয়া যায়। এছাড়াও ৫ থেকে ১০ টাকার মধ্যে পাওয় যায়, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ফুলুরি। এবার রোজায় কাবাবের সঙ্গে বাহারি পদের পরটা এনেছেন তারা। চিকেন চিজ পরটা, স্পেশাল বাটার নান, স্পেশাল পরটা নজর কাড়ছে ক্রেতাদের।

আনমন্ডির এলাকার ইফতার ক্রেতারা বলছেন, বাসায় ইফতার তৈরি হলেও স্টার কাবাবের ভিন্নধর্মী খাবারের জন্য প্রায়ই ইফতার কিনতে আসা হয়। এছাড়াও বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করার জন্য স্টার কাবাবই প্রথম পছন্দ।

এছাড়াও ধানমন্ডির জিগাতলা হয়ে শংকর যেতে সাত মসজিদ রোডের দুই পাশে রেস্তোরাঁগুলো ফুটপাতেই তাদের ইফতারের আয়োজন নিয়ে বসেছে। রোজার সময় তাদের ইফতারও থাকে ক্রেতাদের চাহিদার তালিকায় ওপরের দিকে।

এখানকার বিক্রেতারা বলছেন, বেশির ভাগ ইফতারি পণ্য সামগ্রীর দাম আগের মতো থাকলেও, কয়েক দফা দাম বাড়ায় গরু ও খাসির মাংস দিয়ে তৈরি আইটেমগুলোর দাম বেশি। তবে ক্রেতাদের বেশ পছন্দরে খাবার এগুলো। অন্যবারের তুলনায় এবার বিক্রি বেশ ভালো হবে বলেও আশা তাদের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close