শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার

  ০৮ এপ্রিল, ২০২০

প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি চকরিয়া থানা

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কের মাঝে এবার হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ এর চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি নাজমুল সাঈদ সোহেল। গত শুক্রবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এঘটনায় আহত সাংবাদিক নাজমুল সোমবার একটি এজাহার দায়ের করলেও চকরিয়া থানার ওসি এজাহারটি গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ।

অভিযোগ রয়েছে, এজাহার জমা দেওয়ার আগে উল্টো আহত সাংবাদিক নাজমুলের বিরুদ্ধে রহস্যজনকভাবে প্রতিপক্ষের একটি এজাহার গ্রহণ করেন চকরিয়া থানার সাংবাদিক বিদ্বেষী ওসি হাবিব।

শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে নাজমুলের ছোট ২ ভাই সাইফুল ইসলাম, তারেকুল ইসলামসহ তাদের ৪/৫ জন বন্ধু মিলে নিজ বাড়িতে এই হামলা চালায়। বন্ধুদের মধ্যে মগবাজার ৬ নং ওয়ার্ডের সাইফুল ছিলেন বলে জানা গেছে।

হামলার সময় প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে আহত নাজমুলকে উদ্ধার করে দ্রুত চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

আহত সাংবাদিক নাজমুল জানান, আমি হাসপাতাল থেকে রিলিজ হওয়ার পর থেকে ঘরে ঢুকতে পারছি না। হামলাকারীরা বাড়ির চারদিকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এখন ঘরেও ঢুকতে না পেরে বাইরে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। এছাড়া নাজমুলের বড় মেয়েকে ঘরের ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাকে খাবারও দিচ্ছে না। এমনকি পাশের ভাড়াটিয়া এক কাপ চা দিতে গেলেও তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এবিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিব রহমানকে জানালে তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর ও আত্নীয়স্বজনদের নিকট স্মরণাপন্ন হতে বলেন এবং তাকে বলে লাভ কি; একথা বলো ফোন কেটে দেন।

এদিকে, আহত সাংবাদিক নাজমুল সাঈদ সোহেলের এজাহার জমা দেওয়ার আগে উল্টো রহস্যজনকভাবে প্রতিপক্ষের একটি এজাহার গ্রহণ করেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে, এবিষয়ে কথা বলার জন্য দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান চৌধুরী শাহীন বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিব রহমানকে সরকারি নাম্বারে ফোন দেন।

কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, আমি ফোন করলে তিনি বিষয়টি হালকাভাবে নিয়ে বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঝামেলায় আছি, এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় আমার নাই বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।

সোমবার রাতে সাংবাদিক নাজমুল এ সংক্রান্ত একটি লিখিত এজাহার নিয়ে থানা গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি।

এ বিষয়ে বুধবার সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মতিউল ইসলামের কাছেও অভিযোগ জানান সাংবাদিক নাজমুল।

এব্যাপারে আহত সাংবাদিক নাজমুল সাঈদ সোহেলের পরিবার উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চকরিয়া থানা,মামলা,নাজমুল,হামলা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close