ক্রীড়া ডেস্ক

  ২১ মার্চ, ২০১৯

সেই ভারতেই স্বপ্নভঙ্গ

মেয়েদের ফুটবলে বাংলাদেশের কাছে দুঃস্বপ্নের নাম ভারত। প্রতিযোগিতার মঞ্চে কখনোই প্রতিবেশী দেশটিকে হারাতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলেও স্বপ্নযাত্রায় মেয়েদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয়রা। সেই বাধার প্রাচীর ডিঙাতে পারেননি সাবিনা-আঁখিরা। উল্টো বিধ্বস্ত হয়েছে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।

কাল সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ৪-০ গোলের বড় হারে শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের অভিজান। স্কোর লাইনই বলে দিচ্ছে ম্যাচের চিত্রটা। ভারতীয়দের সঙ্গে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাটুকু করতে পারেনি গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। প্রথমার্ধেই তিন গোল হজম করে করে বসেন সাবিনারা। ধঁকলটা আর সামলে নিতে পারেননি তারা। উল্টো বিরতির পর আরো একটা গোল খেতে হলো বাংলাদেশকে। সাফ ফুটবলে দুই ম্যাচে ৭ গোল হজমের দুঃস্মৃতি নিয়ে তাই নেপাল থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

গত বছর এই ভারতের কাছে হেরেই শিরোপা হাতছোঁয়া দূরত্বে রেখে এসেছিল বাংলাদেশ। এবার প্রতিশোধের মোক্ষম একটা সুযোগ পেয়েছিল তারা। নেপালের বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গসালা স্টেডিয়ামে ভারতকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে পারেনি ছোটনের দল। বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে ভারত। শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নেপাল। কাল প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে একই ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে বিধ্বস্ত করে টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচের টিকিট কেটেছে স্বাগতিক মেয়েরা।

গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে জয়ের আশাটা নিতান্তই অমূলক ছিল। চার ফরওয়ার্ড নিয়ে মাঠে নেমে রক্ষণের খেই হারিয়েছে দল। ভারতের বিপদসীমার আশপাশে সাবিনা, কৃষ্ণা, সানজিদা, স্বপ্না প্রত্যেকেই নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছেন। অথচ তাদের শুরুটা দুর্দান্তই ছিল। বল দখল ও আক্রমণে ভারতের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বলের কাক্সিক্ষত ঠিকানা খুঁজে পায়নি তারা।

শুরুতে কোণঠাসা ভারত ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। ১৫ মিনিটে করে প্রথম আক্রমণ। তিন মিনিট পর দ্বিতীয় চেষ্টায় সফল হয় তারা। সঞ্জু যাদবের কর্নারে রুপনা লাফিয়ে উঠে বলে গ্রিপে নিতে ব্যর্থ হলে দালিমা আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন। এগিয়ে যায় ভারত। একটু পর সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ডি-বক্সের মধ্যে বল পেয়ে কৃষ্ণা ও স্বপ্না কেউই সুযোগে কাজে লাগাতে পারেননি। উল্টো আরেকটি গোল খেয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইন্দুমাতি।

ম্যাচের বয়স যতো সামনে এগিয়েছে ততই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল ভারতের আক্রমণ। সঙ্গে গতির ঝড়। তাতেই রীতিমতো নাভিঃশ্বাস উঠে যায় বাংলাদেশের রক্ষণ বিভাগের। ঝড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ছোটনের ছাত্রীদের। ৩২ মিনিটে সান্দিয়ার নিচু ক্রসে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রুপনাকে একা পেয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ইন্দুমাতি। ম্যাচে এটা তার দ্বিতীয় গোল।

বিরতির পর অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। ছোটন কয়েকটা পরিবর্তন আনলেও ম্যাচের চিত্রটা আর পাল্টায়নি। তবে ডিফেন্সে কিছুটা প্রতিরোধ গড়তে পেরেছিল দল। যদিও জাল অক্ষত রাখা যায়নি এই অর্ধেও। যোগ করা সময়ে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন মনীষা। সবধরনের প্রতিযোগিতায় এনিয়ে ১০ ম্যাচে ৯টিতেই ভারতের কাছে হারল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ - ০

ভারত - ৪

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close