শরীফুল রুকন, চট্টগ্রাম

  ২৭ অক্টোবর, ২০১৮

পরিবর্তনের প্রভাব বোলিংয়ে

প্রথম ম্যাচে ২৪৩ রানে থেমে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারী দল তুলেছিল ২৪৬। প্রথম দুই ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ দল শেষ ম্যাচে তিন পরিবর্তন আনে বোলিংয়ে। তাতেই ঘটে গেল ছন্দপতন। কাল ২৮৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় জিম্বাবুয়ে। টেলর আর উইলিয়ামস গড়েন ১৩২ রানের রেকর্ড জুটি। এতে জিম্বাবুয়ের এবারের সফরে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে চাপটা পুরোপুরি চলে আসে বাংলাদেশের ওপর।

কাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয় অলরাউন্ডার আরিফুল হকের। দলে ফিরেন বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার ও অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। খুলনা থেকে উড়িয়ে আনা সৌম্যকে জায়গা দিতে সরে দাঁড়াতে হয় ফজলে রাব্বিকে। অভিষেকে শূন্য রানে ফেরার পর গত ম্যাচেও তিনি শূন্য মেরেছিলেন। টিম ম্যানেজমেন্ট হয়তো তাকে আপাতত আর সুযোগ দিতে চাচ্ছে না। মোস্তাফিজুর রহমানকে দেওয়া হয়েছে বিশ্রাম। তার জায়গায় খেললেন আবু হায়দার। অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে বসিয়ে মাঠে নামানো হয় ব্যাটসম্যান আরিফুল হককে।

ম্যাচের শুরুর দিকে ওপেনিং বোলার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর আবু হায়দারই জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে যা একটু সমীহ আদায় করে নিতে পেরেছিলেন। দুজনেই নিয়েছেন একটি করে উইকেট। এই দুইয়ের বোলিংয়েই দলীয় ছয় রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসেছিল জিম্বাবুয়ে। শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকা জিম্বাবুয়েকে পথ দেখান দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর আর শন উইলিয়ামস। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে দুইজনে গড়েছেন ১৩২ রানের জুটি। ৭২ বলে আটটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭৫ রান করে ফিরেন টেলর। লং অন ফাঁকা রেখে ফুল লেংথের বলে সেদিক দিয়ে লফটেড শট খেলতে তাকে প্রলুব্ধ করেন নাজমুল। বাঁ-হাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল সøগ সুইপ করে সেই ঝুঁকি নিলেন টেইলর। কাল হলো সেটাই, ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যাওয়া সহজ ক্যাচ গ্লাভসে জমান মুশফিকুর রহিম।

মন্থর শুরু করা জিম্বাবুয়ে এরপর বাড়ায় রানের গতি। সফরকারীদের সংগ্রহ ১০০ স্পর্শ করে ২১তম ওভারে। অতিথিদের রান ২০০ হয় ৩৮তম ওভারে। এতে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩০০ পার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে শেষ দুই ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করলেন সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার। দুই ওভার থেকে এলো মাত্র সাত রান। সেঞ্চুরি করে উইকেটে সেট শন উইলিয়ামসের ওপর দারুণ ভরসা করেছিল জিম্বাবুয়ে, তিনি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন ঠিকই, কিন্তু দলের সংগ্রহটা ৩০০ পার হয় না। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ২৮৬। উইলিয়ামস অপরাজিত থাকেন ১২৯ রানে। তার ১৪৩ বলের ইনিংসটি গড়া ১০ চার ও এক ছক্কায়।

সাইফ শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার বল করে ৫১ রানে এক উইকেট নিয়েছেন। আবু হায়দারের ৯ ওভার থেকে এক উইকেটসহ রান এসেছে ৩৯ রান। আট ওভারে মাশরাফি দিয়েছেন ৫৬ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরচে নাজমুল। আট ওভারে ৫৮ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। মাহমুদউল্লাহ দিয়েছেন ১০ ওভারে ৪০। তিন ওভার করে আরিফুল হক দিয়েছেন ১৭ রান। সৌম্যর দুই ওভার থেকে জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা তুলে নিয়েছেন ১৬ রান। এদিকে, প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৯ ও ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে কাল হারিয়েছে পাঁচ উইকেট। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের কিছুটা ছন্দপতনের কারণ হতে পারে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। তা ছাড়া প্রভাব ফেলেছে বোলিং লাইনআপে পরিবর্তনও!

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close