আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০১ অক্টোবর, ২০১৯

৩ দিনে ৫০০ সৌদি সৈন্য হত্যার দাবি হুতি বিদ্রোহীদের

ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি বলছে, গত ৭২ ঘণ্টায় তারা সৌদি আরবের অন্তত ৫০০ সৈন্যকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া আরো ২ হাজারের বেশি সৌদি সৈন্যকে আটক এবং সেনাবাহিনীর সামরিক যানবাহন জব্দ করেছে। গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নজিরবিহীন এ দাবি করেছে ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের আটক সৈন্য ও সামরিক যানবাহনের ছবি এবং ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। তবে সৌদি আরবের এই সৈন্যদের শরীরে ইউনিফর্ম ছিল না। হুতিদের এই দাবির ব্যাপারে সৌদি আরব এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কোনো তথ্য জানায়নি।

সম্মেলনে সৌদি আরবের সৈন্যদের বিশাল একটি বহরকে আটক ও হামলায় তাদের যানবাহন উল্টে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও প্রদর্শন করে হুতিরা। গত তিন দিন ধরে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের নাজরান প্রদেশের অভিযান চালিয়ে সৌদি আরবের এই সেনাদের আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে হুতি। ইয়েমেন সীমান্তের এ প্রদেশে সামনে আরো বড় পরিসরে অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

হুতিদের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম সৌদি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানকে ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবের নিষ্ঠুর আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এটি সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে আমাদের বিজয়। শত্রুরা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে...মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই বিশাল ভূখ- সৌদি সেনামুক্ত করা হবে।

নাজরানে অভিযানের সময় সৌদি আরবের কয়েকশ সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন এই হুতি নেতা। তিনি বলেছেন, রিয়াদের হাতে এখন বিকল্প আছে সীমিত। তবে কীভাবে ইয়েমেন থেকে তারা চলে যেতে পারে এখন সেটি বিবেচনা করতে পারে। মোহাম্মদ আবদুল সালাম বলেছেন, সৌদি আরব যদি ইয়েমেন ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে হুতিরা হামলা বন্ধ করবে।

ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীদের দাবি যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে এটি সৌদি আরবের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। কারণ দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দুটি তেল স্থাপনায় ভয়াবহ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিল হুতিরা। এই হামলার পর সৌদি আরবের তেল উৎপাদন প্রায় অর্ধেক কমে যায়। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র তেল স্থাপনায় হামলার জন্য আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে দায়ী করলেও তেহরান তা অস্বীকার করে।

গত শনিবার হুতিরা সৌদি সেনাবাহিনীর অন্তত তিনটি ব্রিগেডকে আটকের দাবি করে। তবে ব্যাপক এই হতাহতের ব্যাপারে সৌদি আরব এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

২০১৫ সালের মার্চের দিকে হুথিদের হামলা ও আন্দোলনের মুখে ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ইয়েমেনের এই প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে মার্চেই সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট দেশটিতে হামলা চালায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close