প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৬ মে, ২০২৪

গাজার যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছে না ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই চাপকে উপেক্ষা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোয় হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি।

আরববিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে- যদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়, তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি নয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য শনিবার মিসরের কায়রোয় ইসরায়েলকে প্রতিনিধিদল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোয় প্রতিনিধিদল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

এদিন হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি না, তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবে না।

দখলদার ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয়, তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।

এদিকে ক্যাম্পাস থেকে তাঁবু সরাতে অস্বীকার করায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে ভার্জিনিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়। সেদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাসনা ভবনের সামনের খোলা জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

শনিবার স্থানীয় টেলিভিশন ডব্লিউভিএডব্লিউ-টিভির একটি ফুটেজে দেখা যায়, ক্যাম্পাসে দাঙ্গার পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ। সে সময় বিক্ষোভকারীদের ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ওয়াশিংটন পোস্টকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও বিশ্ব অধ্যয়নের সহকারী অধ্যাপক লরা গোল্ডব্ল্যাট বলেন, ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকেই বিক্ষোভকারীদের দমন শুরু করে। তারা শিক্ষার্থীদের মাটিতে ফেলে দেয় এবং অসহ্য রাসায়নিক স্প্রে করে। এগুলো শুরু হওয়ার পরপরই আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। ক্যাম্পাসে তারা এখন একেবারেই নিরাপদ নয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, ক্যাম্পাসে তাঁবু বা কোনো প্রকার ছাউনি টানানো বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবিরুদ্ধ। তাদের (বিক্ষাভকারী) আগেই এগুলো সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা না করায় পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল ও এপি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close