প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
গাজায় ‘শান্তিরক্ষী’ মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের!
ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের কোনো নির্দেশনা ছাড়াই শেষ হয়েছে প্রথম দিনের শুনানি। অবরুদ্ধ গাজায় ‘জাতিগত নিধন’ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন প্রিটোরিয়ার প্রতিনিধিরা। তবে এর মধ্যেই, যুদ্ধ শেষে গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ‘আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী’ মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
সাত মাস ধরে গাজায় তাণ্ডব চালিয়ে নৃশংসতার সব সীমাই ছাড়িয়ে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকাটির শেষ নিরাপদস্থান বা গাজার লাইফলাইন খ্যাত রাফায়ও হামলা থামেনি। শহরটিতে আরও সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়ে অভিযানের তীব্রতা বাড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল আবিব। তবে নেতানিয়াহু বাহিনীকে রুখতে তাদের ট্যাংকে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হামাস, ইসলামিক জিহাদসহ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার রাফায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের বিষয়ে, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের কোনো নির্দেশ ছাড়াই শেষ হয় প্রথম দিনের শুনানি। এদিন গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করে প্রিটোরিয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিরা জানান, হাসপাতালগুলোতে যেভাবে একের পর এক গণকবরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে তাতে ইসরায়েলি গণহত্যার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সব ছাপিয়ে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা নৃশংসতার নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে বলেও জানান প্রতিনিধিরা।
এদিকে, গাজায় চলমান সংঘাত শেষে উপত্যকাটিতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বাহিনীতে কোনো মার্কিন সেনা না থাকলেও মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াশিংটন।
হামাসকে রুখতেই এমন ভাবনা বাইডেন প্রশাসনের। তবে ওই তিন দেশ চায়, এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিক যুক্তরাষ্ট্র।
আর এই ইস্যুতে নিজেদের সেনা যুক্ত করার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সৌদিসহ অন্য আরব দেশগুলো। তবে ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে আরব লীগ।
বৃহস্পতিবার বাহরাইনের মানামাতে আরব লীগের সম্মেলনে যোগ দেন জোটের রাষ্ট্র প্রধানরা। এতে বলা হয়, যতদিন পর্যন্ত দ্বিরাষ্ট্র নীতি কার্যকর না হচ্ছে, ততদিন ২২ দেশের এই জোট ‘মানামা ঘোষণা’ থেকে ভূখন্ডটিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ও শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানাচ্ছে।
"