নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ জুলাই, ২০২০

‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট’ উদ্বোধনে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

অনলাইনে পশু বেচাকেনা অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে আগে থেকেই পশু কেনাবেচা হতো। কিন্তু বর্তমানে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। কারণ কোভিড-১৯ ভাইরাস পরিস্থিতিতে হাটের সঙ্গে যুক্ত না হয়েই এখন অনলাইনে পশু কেনা যাবে। নতুন এই পদ্ধতি আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার সুফল। গতকাল শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী ডিজিটাল হাট থেকে প্রথম কোরবানির পশু কিনে অনলাইনে কেনা বেচা উদ্বোধন করেন।

ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশেনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। এছাড়া সিপিডির সিনিয়র গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতেও (করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব শেষে) কষ্ট করে আর হাটে যেতে হবে না। একটা সময় ডিজিটাল হাট ব্যবস্থাপনা মানুষের মধ্যে নির্ভরশীলতার জায়গা করে নেবে। এটা নিঃসন্দেহে একটা ভালো উদ্যোগ। এই উদ্যোগ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নেওয়া হয়েছে। তার নির্দেশিত পথেই আমরা এগিয়ে যাব। আমরা স্বপ্ন পূরণের জায়গায় আছি। আমাদের আস্থার জায়গা তৈরি করতে হবে। সেই জায়গায় সবাইকে কাজ করতে হবে। অনলাইন হাটের কয়েকটি চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে স্থানীয়

সরকারমন্ত্রী বলেন, ক্রেতা ও বিক্রেতারা কীভাবে লেনদেন করবেন, মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে যে স্লাভ দেওয়া হয়েছে সেখানে দর কষাকষির সুযোগ থাকা প্রয়োজন ছিল। আমাদের কসাইখানারও প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে ভাবতে হবে। সরকার আর্থিক সহায়তা করতে পারবে। একই সঙ্গে চামড়া সংরক্ষণের জন্য কসাইখানার পাশেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্য মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি ডিজিটাল গরুর হাট থেকে কেবল গরু কেনাই নয়, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জবাই করে বাসায় পৌছে দেওয়া হবে। এটি বিশাল একটি ‘কালেক্টিভ এফার্টের’ ব্যাপার। আমরা এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করলাম। এতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। অনেক ভুলত্রুটি হতে পারে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই। আমাদের আল্টিমেট গোল হচ্ছে, যত্রতত্র গরু বেচাকেনা এবং কোরবানি না দিয়ে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনা। এর ফলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু কেনাবেচা করা যাবে।

তিনি বলেন, আধুনিক উপায়ে পশু কোরবানিও দেওয়া যাবে। কোরবানিকরা পশুর রক্ত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরো সুষ্ঠুভাবে করা যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাবেচা ও কোরবানি দেওয়া হলে পশুর বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, যেগুলো আমরা ফেলে দিই, সেগুলো রফতানির জন্য সংরক্ষণ করা যাবে। চামড়া সংরক্ষণ করা আগের চেয়ে সহজ হবে। এটি একটি কম্পোজিট প্রক্রিয়া।

মেয়র বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের কোরবানি হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close