কলকাতা প্রতিনিধি

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ধর্ষণের অভিযোগে বিজেপি নেতা গ্রেফতার

ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা এবং লোকসভার সদস্য স্বামী চিন্মায়নন্দকে হাসপাতালে যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের এই বিজেপি নেতা গতকাল শুক্রবার সকালে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। সেসময়ই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ লাইনে নিয়ে যায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে তাকে তার আশ্রমে গৃহবন্দি করে রেখেছিল পুলিশ। বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে এতদিন পর্যবেক্ষণে রেখেছিল একটি মেডিকেল টিম। শুক্রবার সকালে বুকে ব্যথা নিয়েই হাসপাতালে যাচ্ছিলেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন শাহাজাহানপুর স্বামী শুকদেবানন্দ আইন কলেজের এক ছাত্রী। স্বামী চিন্মায়ানন্দ ওই কলেজের ডিরেক্টর। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন আইনের ওই ছাত্রী। সেখানে তার বিরুদ্ধে হওয়া যৌন নির্যাতনের কথা বলা হয়। পাশাপাশি যোগী আদিত্যনাথ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোাদর কাছে ন্যায়বিচার চাওয়া হয়।

ওই ভিডিও পোস্ট করার পরই ২৪ আগস্ট থেকে নিখোঁজ হয়ে যান আইনের ওই ছাত্রী। পরে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় রাজস্থানের জয়পুরে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তিনি শাহজাহানপুরে ফিরে যেতে অস্বীকার করেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাকে রাখা হয় দিল্লির ওয়াইএমসিএতে। শাহজাহানপুরের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালান বিজেপির প্রভাবশালী নেতা স্বামী চিন্মায়নন্দ। তার বিরুদ্ধে ওই আইন পাঠতরা তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ আনার পরও প্রথমদিকে সেই অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিশ। তরুণী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তার পরিবার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করার পরও পুলিশ উল্টে অপহরণের মামলা করে।

গত সোমবার আদালতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে বয়ান দেন উত্তরপ্রদেশের ওই অভিযোগকারিণী। আইন পড়–য়া উত্তরপ্রদেশের ২৩ বছরের ওই তরুণীর অভিযোগ, গত এক বছর ধরে তাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন চিন্ময়ানন্দ। ২৩ আগস্ট ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তাতে প্রথমে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন তিনি। পরের দিন থেকে তার খোঁজ না মেলায় ওই তরুণীর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এর পর রাজস্থানের জয়পুরে ওই তরুণীর খোঁজ মেলে। সে সময় তাকে আদালতে হাজির করানো হয়। চিন্ময়ানন্দের ভয়েই তিনি বন্ধুদের সঙ্গে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বলে দাবি করেন ওই তরুণী। পরে তিনি ধর্ষণের অভিযোগও করেন। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তোলেন তিনি। তবে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে প্রথমে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করলে পরে তরুণীর দাবি ছিল, ওই বিজেপি নেতা তাকে ধর্ষণ করেছেন। চিন্ময়ানন্দের সেসব কুকীর্তি তিনি গোপন ক্যামেরায় বন্দি করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close