জবি প্রতিনিধি

  ১৮ মার্চ, ২০১৯

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির দাবি

বিভিন্ন স্তরের পাঠ্যসূচিতে জাতির জনকের ভাষণগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রত্যেকটি ভাষণই কালজয়ী। তার ৭ মার্চের ভাষণ জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল। এ ভাষণকে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিলাম।

গতকাল রোববার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতির প্রতিকৃতিতে (ধানমন্ডির ৩২ নম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার, সাধারণ সম্পাদক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ, জবি ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. আবদুল বাকী, জবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাকিবুল ইসলামসহ অনেকে।

এর আগে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবসহ অন্যান্য নেতাদের পক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। জবি উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর এমন অনেক ভাষণ আছে, যেখানে একটি জাতির এগিয়ে যাবার জন্য কী করতে হবে, প্রতিবন্ধকতায় কীভাবে উত্তরণ ঘটাতে হবে এমন সব প্রকার দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। আমি মনে করি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণগুলো বিভিন্ন পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের উপমহাদেশে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা বলতে যা বোঝায় তা কখনোই ছিল না। হাজার বছর ধরে বিভিন্ন রাজা, জমিদারি ও তালুকদারিÑ এসব ছিল। সেই আধুনিক রাষ্ট্রের চিন্তাটি বন্ধবন্ধুর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাঙালির জন্য স্বপ্ন দেখেন একটি স্বাধীন, সার্বভৌম আধুনিক রাষ্ট্র। বাংলাদেশ জন্মানোর পুরো কৃতিত্বই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close