নিজস্ব প্রতিবেদক
শাহীনও ঢাকায় বার্ন ইউনিটে ভর্তি
কবির আসছেন আজ
নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের আহত যাত্রী শাহীন ব্যাপারীকে ঢাকায় আনা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন ইউনিটের প্রধান ও ১৪ সদস্যের মেডিক্যাল টিমের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। এদিকে, নেপাল থেকে আনার পর বার্ন ইউনিটে এখন শাহীন
ব্যাপারীকে নিয়ে ছয়জন রয়েছেন। বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশি ১০ যাত্রীর মধ্যে দুজনকে নেপাল থেকেই পাঠানো হয়েছে সিঙ্গাপুরে। আর কবির হোসেন নামের একজনকে দেশে আনা হবে আজ সোমবার। বাকি একজন ইয়াকুব আলীকে চিকিৎসার জন্য ভারতের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বাংলাদেশের দুই পাইলট ও দুইজন কেবিন ক্রুসহ ২৬ জন নিহত হন। শাহীনসহ ১০ জন দগ্ধ হলেও বেঁচে যান। মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার মৃত শফিউল্লাহ ব্যাপারী ও জাহানারা বেগমের ছেলে শাহীন বেড়ানোর উদ্দেশে ১২ মার্চ ইউএস-বাংলার ওই ফ্লাইটে চেপেছিলেন বলে তার চাচা শাহজাহান ব্যাপারী জানান। শাহীন স্ত্রী রিমা ও আট বছরের মেয়ে সূচনাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদমজীর একটি বাসায় থাকতেন। তিনি সদরঘাটে ‘করিম এন্ড সন্স’ নামের একটি কাপড়ের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।
শাহজাহান ব্যাপারী বলেন, দুর্ঘটনার কথা শোনার পর আমরা কেউই ভাবি নাই শাহীন বেঁচে আছে। ওই দিন রাতেই জানতে পারলাম ও বেঁচে আছে। ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল পরে। ও বলেছে, ‘আল্লাহর দয়া ছিল তাই বেঁচে গিয়েছি’।
বার্ন ইউনিটের প্রধান ও ১৪ সদস্যের মেডিক্যাল টিমের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শাহিনের ১৫-১৬ শতাংশ বার্ন হয়েছে। তার হাত, পা ও বুক এবং টাংকে বার্ন হয়েছে। এ কারণে এখনই তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। তবু তার অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। তারপর বলা যাবে বাকিটা। আহত অন্যদের চেয়ে শাহিনের বেশি বার্ন হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা স্টেবল রয়েছে। আর চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে শাহিন ও শাহরিন শঙ্কামুক্ত নন। তাদের দুজনের অবস্থা অন্যদের চেয়ে একটু বেশি ক্রিটিক্যাল।
আহতদের বিষয়ে ট্রমার বলেন, মেডিক্যাল টিম আজ এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে। তাদের স্বজনদের নিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ করার কাজ চলছে। তবে এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া হওয়ায় একটু সময় লাগবে। এর আগে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে আহত শাহিনকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটের ভিআইপি কেবিনের ৬০২ নম্বর কক্ষে রাখা হয়।
"