ভারতে আগামী জনগণনা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বা ডিজিটাল সেনসাস। পাশাপাশি তৈরি করা হবে ন্যাশানাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনপিআর। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

প্রসঙ্গত, জনগণনায় যেমন লোকের সংখ্যা গোনা হয় তেমনই এনপিআরে ওইসব মানুষ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয় ও তা যাচাই করা হয়। সোমবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২১ সালের জনগণনায় ব্যবহার করা হবে একটি মোবাইল অ্যাপ। এতে কাগজে কলমে জনগণনা পদ্ধতি বদলে যাবে ডিজিটালে। হবে এক দেশের এক নাগরিক কার্ড।

দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ বলেছেন, আধার, পাসপোর্ট, ব্যাংকিং, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার কার্ডের মতো পরিসেবার পরিবর্তে একটি মাত্র কার্ডই ব্যবহার করা সম্ভব। সেই সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে এক দেশ, এক রেশন কার্ডের পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টনমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যেই এই পরিকল্পনার কথা শুনিয়েছিলেন তিনি।

তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বহু পরিসেবা এক কার্ডে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডির পরিবর্তে একটাই কার্ড থাকা উচিত। ফলে এবার দেশে যে এনপিআর তৈরি হচ্ছে তার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। দশ বছর পর এবার তা হবে ২০২১ সালে। এর জন্য খরচ হবে ১২ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালের জনগণনায় তৈরি করা হবে, এনপিআর বা ন্যাশানাল পপুলেশন রেজিস্টারও। এতে যারা দরজায় দরজায় গিয়ে জনগণনার তথ্য সংগ্রহ করবেন মোবাইল অ্যাপের ফলে তারা উৎসাহ পাবেন, এমনটাই জানিয়েছেন অমিত শাহ। এ বছর মার্চ মাসে কেন্দ্র ঘোষণা করে পরবর্তী জনগণনা হবে দুটি ধাপে। একটি শুরু হবে ১ মার্চ ২০২১ থেকে। এর জন্য নোটিস দেওয়া হবে ২০২০ সালের অক্টোবরে।

গত মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবা জানিয়েছেন, এবারের জনগণনায় শুধুমাত্র লোকের সংখ্যা গণনা করা হবে না। বরং তাদের আর্থসামাজিক তথ্যও নেওয়া হবে। এতে দেশের আর্থিক বিকাশের পরিকল্পনা করতে সুবিধা হবে।

পিডিএসও/তাজ