চবি প্রতিনিধি

  ১৭ মার্চ, ২০২৪

চবিতে ছাত্রলীগের দ্বন্দ্বের মূল্য দেয় শিক্ষার্থীরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনা প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়। এসব সংঘর্ষের পেছনে থাকে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন উপদলের ভেতরের দ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্বে থাকে স্থানীয় নানা মহলের ইন্দন ও উসকানি। এর মূল্য দিতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে শিক্ষার্থীরা হয় বলির পাঁঠা। গত ১২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফতেহপুর ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ারের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে গত ১৫ মার্চ শুক্রবার অবরোধের ডাক দেয় স্থানীয়রা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল ক্রসিং এলাকায় জমায়েত হয়ে হামলাকারী ছাত্রলীগের সঙ্গে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থী পরিচয়ে যাকেই পেয়েছে তার ওপরই হামলা চালিয়েছে স্থানীয়রা। হামলায় ৬ শিক্ষার্থী আহত হন। তারা হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের সাহাদাত ও মায়েশা এবং আরবি বিভাগের আবদুর রহমান। আর বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

আহত শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘দুপুর ৩টায় স্মরণ চত্বর থেকে সিএনজি করে এক নম্বর গেটে যাচ্ছিলাম আমি ও বন্ধু মাইশা। সিএনজি রেলক্রসিং এলাকায় যাওয়ার পর গ্রামবাসী সিএনজির গতিরোধ করে, বলে সিএনজি আর যাবে না। আপনারা হেঁটে চলে যান। আমরা হেঁটে চলে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীরা ভার্সিটির স্টুডেন্ট বলে পোড়া কাঠ নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এলোপাতাড়ি মারধরে আমার মাথা ফেটে যায়। চিকিৎসা নিতে গিয়ে ফাটা মাথায় চারটা সেলাই দিতে হয়।

আহত হওয়া আরবি বিভাগের মাস্টার্সের আর এক শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, আমি আমার বাসার রেলিংয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। এ শিক্ষার্থী বলেন, তারা আমার বাসায় এসে মেরে যায়। রাজনীতি থেকে দূরে থাকার জন্য আমি হলের বাইরে থাকি। কিন্তু সেই রাজনৈতিক কারণে আজকে আমি মার খেলাম। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপদল থাকায় পান থেকে চুন খসলেই তারা মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা, ট্রেনের লোকোমাস্টার কে অপহরণ, খাবারের ডাইনিং বন্ধ, ক্লাস বন্ধ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ভোগান্তির শিকার হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

দুই দিন আগে স্থানীয়দের সঙ্গে ছাত্রলীগের মারামারিতে আহত হয়েছে ৬ শিক্ষার্থী। এ নিয়ে আতঙ্কে আছি আমরা। শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নুরুল আজিম সিকদারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা মূল ফটক খুলে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানায়, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close