জাবি প্রতিনিধি

  ০১ নভেম্বর, ২০১৯

জাবি উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে ধর্মঘট অব্যাহত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে ধর্মঘট পালন অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার টানা চতুর্থ দিনের মতো ধর্মঘট পালন করেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারের আন্দোলনকারীরা। ধর্মঘটের কারণে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার ধর্মঘট পালন করবেন আন্দোলনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সের কার্যক্রমও এই ধর্মঘটের আওতায় থাকবে। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। তবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন তোলার জন্য হিসাব শাখা প্রায় দুই ঘণ্টা খোলা রাখা হয়। এছাড়া প্রশাসনের ‘দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার’ প্রতিবাদে ব্যাঙ্গাত্মক উক্তি ও চিত্র অঙ্কিত সংবলিত ক্যানভাস নিয়ে র‌্যালি করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ’ থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে বিভিন্ন ভবন ও সড়ক ঘুরে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। ৩০ গজ দীর্ঘ রং তুলির এ ক্যানভাসে ‘লাগ ভেলকি লাগ, ফারজানা তুই ভাগ’, ‘টাকার চিন্তায় ঘুম আসে না’ সহ নানা ব্যঙ্গাত্মক উক্তি এবং চিত্র অঙ্কিত ছিল।

এদিকে সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবালের ওপর ‘হামলার’ প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’। গতকাল বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারসংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এ সময় উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা দাবি করেন, বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাগ্বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবালের ওপর কিছু আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী অতর্কিত ‘হামলা’ করেন। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম সাভারস্থ এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফকে দেখতে যান। এ সময় উপাচার্য তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

শিক্ষকদের মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘মহিবুর রৌফ শৈবাল আমাদের সহকর্মী, ছাত্র এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, সেটা দেখে আমাদের কাছে ৭১ সালের কথাই মনে পড়ে যায়।

তবে সহকারী প্রক্টরের ওপর ‘হামলার’ অভিযোগকে বানোয়াট আখ্যা দিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক বলেন, সহকারী প্রক্টরের ওপর হামলার বিষয়টি ভিত্তিহীন। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জয় ও এক ছাত্রীকে ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করেন। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি যে হামলা করেছেন তা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে স্পষ্ট। কিন্তু নিজের অপরাধ ঢাকতে এবং আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তিনি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উল্টো হামলার নাটক সাজাচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close