নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

ইসিতে পাশাপাশি হুদা-আব্বাস

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আপিল শুনানিতে এসে পাশাপাশি বসে কিছুক্ষণ সময় কাটালেন রাজনৈতিক সহকর্মী বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও দলটির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। পুরনো স্মৃতি হাতড়ানো এবং সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে খোশগল্পে মেতে ছিলেন প্রবীণ এই দুই রাজনীতিক। দুজনের এভাবে একান্ত আলাপচারিতা দীর্ঘ ৮ বছর পর বলে জানালেন তারা। বর্তমান রাজনৈতিক মেরূকরণে আব্বাস-হুদা বিপরীত মেরুতে থাকলেও কথা-আলাপে সে ধরনের কোনো নেতিবাচক প্রভাব ছিল না।

উল্লেখ্য, মির্জা আববাস ও নাজমুল হুদা এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্রে ত্রুটির কারণে বাতিল করেছিলেন। আপিলে দুজনের মনোনয়নয়পত্র বৈধ করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচনী এজলাস।

সূত্র মতে, ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দলীয়শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে দল তাকে অব্যাহতি দেন। এর আগে পর্যন্ত মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। কাকতালীয়ভাবে হুদাকে যখন অব্যাহতি দিয়েছিল দল ওই নীতিনির্ধারণী সভায় উপস্থিত ছিলেন না স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তবে অব্যাহতির পর খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তকে মেনে অতীত ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করলে হুদাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই নেত্রীকে (খালেদা-হাসিনা) এক টেবিলে বসে রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পরামর্শ দিয়ে সংলাপে বসার প্রস্তাব দেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্তে সাড়া ছিল না দলীয় চেয়ারপারসনের। নিজের অপরাধ বোধ থেকে স্বেচ্ছায় দল ত্যাগ করেন এই প্রবীণ রাজনীতিক। সেই থেকে রয়েছে দলের বাইরে।

তবে পটপরিবর্তনে নতুন দল গঠনের আলোকে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে ব্যারিস্টার হুদা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে এই দলটি নিয়ে গত ২০১২ সালের ১০ আগস্ট রাজনীতিতে সক্রিয় হোন। এখানেও তার স্থায়িত্ব বেশি দিন হয়নি। বহিষ্কার হয়ে ২০১৫ সালে তিনি গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি নামের আরেকটি দল; যার সঙ্গে এখনো যুক্ত রয়েছে নাজমুল হুদা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close